
বেলঘরিয়া: বেলঘরিয়ায় তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনার তদন্ত যত এগিয়েছে, পরতে পরতে উঠে আসছে তত তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী রেহান খানকে মারতে দু’ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ব্য়বহার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মৃত্যু নিশ্চিত করতে মোট তিনবার চালানো হয় গুলি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল কাউন্সিলর দেবযানি মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বছর তিরিশের এই রেহান খান। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে টার্গেট করে গুলি ছোড়ে অভিযুক্তরা। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে চলে গুলি। এরপর পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সারারাত গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এলাকাতেই পড়েছিলেন ওই যুবক।
এরপর সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করেন। তারপর নিয়ে যাওয়া হয় সাগর দত্ত হাসপাতালে। সেইখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। উঠে আসে একের পর এক নানা তথ্য। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগ্নেয়াস্ত্র মাথার পিছনে ঠেকিয়ে দু’বার গুলি চালানো হয়। আরও একবার গুলি ঘাড়ে চালানো হয়েছে বলে এখনও অবধি জানতে পারা গিয়েছে।
কিন্তু কেন খুন হলেন এই তৃণমূল কর্মী? প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার পিছনে উঠে আসছে ব্য়বসায়িক শত্রুতা। জানা গিয়েছে, রেহানদের জমির ব্যবসার অংশীদার গোপাল দে নামে এক ব্যক্তি। গোপালের ভাইঝি পায়েল সরকারের বক্তব্যস রেহান-গোপালের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে রেহান খুন হয়েছেন। তবে এখনও অবধি সবটাই অনুমান। ঠিক কী কারণে খুন হলেন তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।