উত্তর ২৪ পরগনা: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধেই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ। সরাসরি কনভয় নিয়ে সেচমন্ত্রী জনা চল্লিশেক কর্মী সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে বিডিও অফিসে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ। মনোনয়ন জমা দেওয়ার কেন্দ্র, বিডিও অফিসের বাইরে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মন্ত্রী এত কর্মী সমর্থক নিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়লেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। অবশ্য বারাকপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রাজর্ষী চক্রবর্তী বলেন, “আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। আর উচ্চতর অফিসারদের জানাচ্ছি।”
বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। স্বাভাবিকভাবেই এদিন উত্তেজনা বাকি দিনের তুলনায় একটু বেশিই। এমনিতেই উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুর এলাকা কমিশনের নজরে স্পর্শকাতর এলাকা নয়। সূত্রের খবর, সেখানে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে আলাদা করে অশান্তি কিংবা উত্তেজনার অভিযোগও সেভাবে দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার আশপাশে। সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জনা চল্লিশেক কর্মী সমর্থক নিয়ে একেবারে বিডিও অফিসের ভিতর ঢুকে পড়েন। দফতরের ভিতরে ঠাসা ভিড়। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়ে, সরকারি দফতরের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মন্ত্রী। আর কর্মীদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেও দেখা গেল। আবার এমনিও দৃশ্য ধরা পড়ল, পার্থ ভৌমিক বিরোধী দলের প্রতিনিধিদেরও বলে গেলেন, “কোনও অসুবিধা হলে নির্দ্বিধায় আপনারা ফোন করবেন, বলবেন।” সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই ছবি। এমনিতেই বিডিও অফিস চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি। সেখানে জমায়েত যাতে না হয়, তার জন্য পুলিশ মোতায়েন। কিন্তু অভিযোগ, তা উপেক্ষা করেই তিনি বিডিও অফিসের ভিতর ঢুকে পড়েন।
এই বিষয়টি নিয়ে সরব হন বিরোধীরা। সিপিএম নেতা শম্ভু চক্রবর্তী বলেন, “এত লোক নিয়ে মন্ত্রী এসেছেন। এটা নির্বাচনী বিধিভঙ্গ। এমন কাজ তিনি করতে পারেন না। প্রশাসন কীভাবে সম্মতি দিচ্ছে, সেটাই বিষয়।”
বারাকপুর এক নম্বর ব্লকের বিডিও রাজর্ষী চক্রবর্তী বলেন, “অবশ্যই সেটা করতে পারেন না। ১৪৪ ধারা জারি থাকলে তো তিনি সেটা করতে পারেন না। আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি।”
যদিও মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের বক্তব্য, “সিপিএম-কংগ্রেস সকলের নেতার সঙ্গেই কথা হল। সবাইকে বলেছি, কোনও অসুবিধা হলে আমাকে জানাবেন। বাকি সব সুষ্ঠুভাবেই হচ্ছে।”