Arjun Singh: ‘চুরি দেখলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করুন’, কাকে নিশানা করে বার্তা অর্জুনের

Arjun Singh: এক দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে অর্জুন সিং শ্রমিকদের বার্তা দেন, মোবাইলে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়ে দিতে। তাহলে প্রত্যেক কারখানায় বিভিন্ন অনৈতিক কাজ বন্ধ হয়ে যাবে।

Arjun Singh: 'চুরি দেখলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করুন', কাকে নিশানা করে বার্তা অর্জুনের
অর্জুন সিং।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 14, 2023 | 5:49 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: বিস্ফোরক সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। দলের মধ্যে এক শ্রেণি অসাধু ব্যক্তি কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বেআইনি কাজকর্ম করছেন বলে দাবি করলেন অর্জুন। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বন্ধ জুটমিল বা অন্য কারখানা থেকে জিনিসপত্র চুরি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। অর্জুন বলেন, কারও নজরে এরকম কোনও ঘটনা এলে যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, দলকে সামনে রেখে কোনও অন্যায় হলে তা তিনি বরদাস্ত করবেন না। অর্জুন সিং বলেন, দলের নাম ভাঙিয়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সামনে রেখে কিছু অসাধু বিভিন্ন কারখানার জিনিস বিক্রি করে দিচ্ছেন। কারখানার পরিকাঠামো দুর্বল করে দিচ্ছেন। তাঁদের জন্য দলের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে বলেও মন্তব্য অর্জুনের। ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে এসব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এক দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে অর্জুন সিং শ্রমিকদের বার্তা দেন, মোবাইলে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়ে দিতে। তাহলে প্রত্যেক কারখানায় বিভিন্ন অনৈতিক কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। শ্রমিক স্বার্থও ক্ষুন্ন হবে না। নৈহাটির গৌরীপুর জুটমিল,নৈহাটি জেন্সন রং কারখানা, শ্যামনগর রাম সরুপ, নিকো কেবল কারখানা এভাবেই শেষ হয়ে গিয়েছে বলে মত শিল্পাঞ্চলের দীর্ঘদিনের এই নেতার।

কিন্তু দলের নাম ভাঙিয়ে কারা এমন কাজ করছে? অর্জুনের তিরের তাক কোন দিকে? অর্জুন সিংয়ের কথায়, “ইউনিয়ন কোনও পার্টির হয় না। শ্রমিক যার উপর ভরসা করবে, তার সঙ্গে থাকবে। কিন্তু এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কেউ যদি নিজের ক্ষমতা কায়েম করার চেষ্টা করে সেটা তো ঠিক নয়।” একইসঙ্গে অর্জুন বলেন, “কোনও বিস্ফোরক মন্তব্য করিনি। একাধিক কারখানা বন্ধ। জুটমিল বন্ধ। সেখান থেকে দিনেরবেলা ট্রাক এনে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। যাঁরা এগুলি করছে তাঁরা অসাধু। তৃণমূলের নাম বদনামের চেষ্টা করছে। এসব করলে তো সরকারের বদনাম। সে কথাই আমি বলছি।” তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ নেই অর্জুনের, তাও বুঝিয়ে দেন। বলেন, পুলিশের কাজ পুলিশ করছে। সবসময় তাদের পক্ষে তো পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়।

যদিও অর্জুনের সোশ্যাল মিডিয়া-দাওয়াই পছন্দ নয় এলাকায় তাঁর ‘বিরোধী গোষ্ঠী’ হিসাবে হিসাবে পরিচিত, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের। সোমনাথ বলেন, “উনি আমাদের সাংসদ। উনি তো বলতেই পারেন। ওনার কাছে কোনও অভিযোগ থাকলে দলকে জানান। আমাদের আইএনটিটিইউসির সভাপতিকে জানান, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি ওখানকার বিধায়ক। আমাকে জানাবেন। নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই কোনও তথ্য থাকলে মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বলে লাভ নেই। দলকে বলাই ভাল।”