CPIM Join: ঘাসফুল ছেড়ে লাল ঝান্ডা হাতে তুলে নেওয়ার হিড়িক, পাল্টা খোঁচা তৃণমূলের
North 24 Parganas: সিপিএমে যোগদানকারী ৮০ নম্বর বুথের সভাপতি শেখ সোহরব আলি জানান, তৃণমূলের অন্দরে এখন শুধুই দুর্নীতি। সেই দুর্নীতির দায় দলে থাকলে ঘাড়ে আসবেই।
উত্তর ২৪ পরগনা: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘাসফুল (Trinamool Congress) শিবিরে ধস। সিপিএমের দাবি, তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএমে যোগ দিলেন দুই নেতা-সহ একাধিক কর্মী, সমর্থক। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত-২ ব্লকের শাসন সংলগ্ন কৃষ্ণমাটি কীর্তিপুরে এই যোগদান হয়। সিপিএমের দাবি, এদিন প্রায় ৬০-৭০ জন বাম শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তবে ঘাসফুল শিবির থেকে বেরিয়ে এসে লাল ঝান্ডা হাতে তুলে নেওয়া সদস্যদের দাবি, এই যোগদানকারীর সংখ্যাটা ২০০ জনের কাছাকাছি। তবে এই যোগদানকে আমল দিতে চাইছেন না শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্ব।
সিপিএমে যোগদানকারী ৮০ নম্বর বুথের সভাপতি শেখ সোহরব আলি জানান, তৃণমূলের অন্দরে এখন শুধুই দুর্নীতি। সেই দুর্নীতির দায় দলে থাকলে ঘাড়ে আসবেই। তাই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। আরেক ঘাসফুলত্যাগী জাহাঙ্গির হোসেনের কথায়, “রাজ্যে টাকা লুঠ চলছে। সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উশৃঙ্খলতা চরমে। মানুষের জন্য কিছু কাজই করা যাচ্ছে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সামনে রেখে চলার জন্য তৃণমূল থেকে সিপিএমে যোগদান করলাম।”
এই যোগদান প্রসঙ্গে সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আহমেদ আলি খান বলেন, “কীর্তিপুর গ্রামপঞ্চায়েতে বুথ সভাপতি সোহরব আলি ও জাহাঙ্গির আলি ৬০-৭০ জন কর্মী নিয়ে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।” পাল্টা কীর্তিপুর-১ অঞ্চল সভাপতি মান্নান আলির দাবি, “শতাধিক নয় চারজন গিয়েছেন। তার মধ্যে দু’জন দলের কেউ নন। আগে বিজেপি করতেন, এখন সিপিএমে যোগ দিয়েছেন। আর যিনি বুথ সভাপতি বলেছেন, তিনি এখন তা নেই। বুথ সভাপতি বদল হওয়ার কারণে উনি সিপিএমে যোগ দিয়েছেন।” এই সদস্যরা দল থেকে সরে গেলে তাতে সংগঠনে কোনও প্রভাবই পড়বে না বলে দাবি মান্নান আলির।