উত্তর ২৪ পরগনা: কালবৈশাখীর (Kalbaisakhi) দাপটে রাতভর ঝড় ও শিলাবৃষ্টির জেরে প্রবল ক্ষতি আমের মুকুল থেকে সব্জি-ফসলের। বসিরহাটের সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের ১০টি ব্লকে বৃহস্পতিবার রাতভর কালবৈশাখীর দাপটে তোলপাড় হয়েছে এলাকা। একইসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ শিল পড়ায় রীতিমতো ক্ষতি হয়েছে আমের মুকুলের। যেসব গাছে আমের বোল ধরেছে, শিলাবৃষ্টির জেরে আমের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা। বসিরহাটের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাঁচা ও পাকা আম রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। আম বিক্রি করেই সংসার চলে বহু কৃষকের।
ইতিমধ্যেই কাঁচা আমের চাহিদা হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। তার মধ্যেই হঠাৎ এই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন আম চাষিরা। অন্যদিকে সব্জি, ফসল বিশেষ করে সজনে ডাঁটা, পটল, উচ্ছে, কাঁচালঙ্কা ও ঝিঙে-সহ বিভিন্ন সব্জি শিলা বৃষ্টির জেরে নষ্ট হতে বসেছে। সূর্যের আলো পড়তেই সেগুলি পচন ধরবে এমনটাই জানাচ্ছেন কৃষকরা।
ঝড়ের প্রচন্ড দাপট, সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে শিলাবৃষ্টির ফলে ক্ষতি হয়েছে হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, বাদুড়িয়া, স্বরূপনগর ও বসিরহাট-১ ব্লক সহ প্রায় ১০টি ব্লকের ফসলের। শুক্রবার সকালে মাঠে গিয়েছিলেন সিরাজুল ইসলাম গাজি। তিনি বলেন, “এত বৃষ্টি, তার উপর আবার শিল পড়েছে। বিশাল ক্ষতি হয়েছে এবার। ছোট ছোট আমও এসেছিল, সব পড়ে গেল এক রাতের ঝড়েই। কিছুই নেই। সবজি ক্ষেতেও জল জমে গিয়েছে।”
বৃহস্পতিবার ছিল ১ চৈত্র। চৈত্রের প্রথমদিনই দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখীর আগমন। কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হাওয়ার দাপট। রাত বাড়তেই উথাল পাতাল হাওয়া, সঙ্গে বিদ্যুতের ঝলক আর বৃষ্টি। তবে এই বৃষ্টির জেরে সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। জমিতে জলও দাঁড়িয়ে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। শুক্রবার, শনিবারও ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে জেলায় জেলায়। তালিকায় আছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায়।