উত্তর ২৪ পরগনা: পুরসভায় (Municipality Recruitment) নিয়োগ নিয়ে আদালতকে একটি রিপোর্ট দিয়েছে ইডি। জানিয়েছে, কাঁচরাপাড়া, নিউ ব্যারাকপুর, কামারহাটি, টিটাগড়, বরানগর, হালিশহর, দক্ষিণ দমদম, দমদম, টাকি-সহ আরও বেশ কিছু পুরসভা তাদের নজরে। যদিও এই দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ মানতে চাননি টাকি পুরসভার (Taki) চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য নিয়মের বাইরে গিয়ে তাঁর পুরসভায় কোনও নিয়োগ হয়নি। সরকারি নিয়ম মেনে ২০১৬ সালে ১৬ জনের চাকরি হয়েছিল টাকি পুরসভায়। পরে গ্রুপ ডি-এর নিয়োগ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে প্রোমোটার অয়ন শীলকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। সূত্রের খবর, অয়নের সল্টলেকের ঠিকানায় তল্লাশি চালাতে গিয়ে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য়প্রমাণ হাতে পায় ইডি। যদিও টাকির পুরপিতা সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সমস্ত নিয়ম মেনে আমরা সরকারের কাছ থেকে নিয়োগগুলো পাই। ২০১৭ সালে আমরা সেই চাকরিগুলো দিয়েছিলাম। কোনও এজেন্সির মাধ্যমে নয়।” পুরসভা সূত্রে খবর, ওই নিয়োগের পর আর কাউকে নিয়োগ করেনি পুরসভা।
২০১৭-১৮ সালে ৪০টি গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের কথা ছিল বলে জানান পুরপ্রধান। পরীক্ষা নেওয়া হলেও সরকারিভাবে কিছু কাগজপত্রে ত্রুটিবিচ্যুতি থাকায় নিয়োগ বাতিল হয়ে যায়। পুরবিভাগের ডিপার্টমেন্ট অব লোকাল বডিজকে ব্যাপারটি সম্পর্কে অবগতও করা হয়। তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের আবেদনে সিলমোহরও দেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে। পুরপ্রধানের কথা অনুযায়ী নিয়োগ বাতিল হলে, ইডির রিপোর্টে কেন এই পুরসভার নাম উঠে এল?
বিজেপি কাউন্সিলর তথা বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার সভাপতি উমা মণ্ডলের বক্তব্য, “সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে আমি জানতে পেরেছি পশ্চিমবঙ্গে পুরসভায় চাকরি নিয়ে যে দুর্নীতি হচ্ছে তাতে টাকিরও নাম উঠে এসেছে। আমি চাই সঠিক তদন্ত হোক ও দোষীরা শাস্তি পাক।” সিপিএমের হাসনাবাদ এরিয়া কমিটির সদস্য সুকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “টাকি পুরসভার এই দুর্নীতির তদন্ত হোক, সত্যি মানুষের সামনে আসুক।”