TMC Leader Security: তৃণমূলের ৪১ জন নেতা-নেত্রীর নিরাপত্তা প্রত্যাহার ব্যারাকপুর কমিশনারেটের

Barrackpore: যদিও বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী জানান, ২০১৯ সালে বিজেপির সন্ত্রাসের ভয়ে অনেককে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত পুলিশ মনে করছে এখন আর দরকার নেই।

TMC Leader Security: তৃণমূলের  ৪১ জন নেতা-নেত্রীর নিরাপত্তা প্রত্যাহার ব্যারাকপুর কমিশনারেটের
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট।

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Mar 14, 2023 | 12:19 PM

ব্যারাকপুর: ৪১ জন তৃণমূল নেতার (TMC Leader) নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিল পুলিশ। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের ৪১ জন নেতাকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। যা এবার তুলে নিল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বেশ কয়েকটি পুরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর, ভাইস চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যানের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে এই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি তালিকাভুক্ত জনপ্রতিনিধিদের একটা বড় অংশই। তবে কেউ কেউ আবার নিরাপত্তা ছাড়া বাইরে বেরোনা নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন। বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী জানান, ২০১৯ সালে বিজেপির সন্ত্রাসের ভয়ে অনেককে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত পুলিশ মনে করছে এখন আর দরকার নেই।

সুবোধ অধিকারী বলেন, “এটা প্রশাসনিক বিষয়। প্রশাসনের ব্যাপার। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে আমাদের নেত্রী যেভাবে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত করেছেন, পুলিশ প্রশাসনও অনেক শক্ত হয়েছে। শান্তি ফিরে এসেছে। হতে পারে সে কারণে এমনটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” বিধায়কের বক্তব্য, “২০১৯ সালের পর বিজেপির তুমুল তাণ্ডব চলেছে। অনেক ঘরবাড়ি জ্বালিয়েছে, অনেকের বাড়িতে লুঠপাট চালিয়েছে। অনেক খুনের ঘটনাও ঘটেছে শিল্পাঞ্চলে। সে সময় মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার দরকার পড়েছিল। তবে এখন মনে হয় সেটার আর আলাদা করে দরকার নেই।”

এই নিরাপত্তা তুলে নেওয়া নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, অর্জুন সিংয়ের ‘ঘরওয়াপসি’র পরই কি এমন সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন? যদিও এ তত্ত্ব মানতে নারাজ সুবোধ। তাঁর দাবি, এখানে দলের কোনও বিষয়ই নেই। পুরোটাই প্রশাসনিক বিষয়। দল একদিকে, প্রশাসন একদিকে। কারও নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে নয় বলেই নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়া হল, মত তৃণমূল বিধায়কের।

তালিকায় নাম রয়েছে নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্য়ায়, নৈহাটির কাউন্সিলর সনৎ দে, বীজপুরের আলোরানি সরকার, নোয়াপাড়ার তৃণমূল নেতা সুনীল সিং, অর্জুন সিংয়ের ভাইপো সৌরভ সিং, উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস, জগদ্দলের প্রাক্তন বিধায়ক পরশ দত্ত।

পুলিশের নিরাপত্তা তুলে নেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন অনেক কাউন্সিলরই। তালিকায় থাকা ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর  ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায় জানান, “পুলিশ নিরাপত্তা তুললে সবারটাই তোলা হোক। কেন শুধু আমাদেরটা তোলা হবে? নিরাপত্তা নেই বলে তো বাড়ির লোকজন বাইরে বেরোতে না করছেন। দল করতে গিয়ে হাত ভেঙেছে আমাদের, পা ভেঙেছে। আর যারা বিজেপি থেকে তৃণমূলে এসেছে, তাদের সাতটা করে সিকিউরিটি।” হালিশহর পুরসভার কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় দাসেরও নাম রয়েছে এই তালিকায়। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি তাঁরও।