উত্তর ২৪ পরগনা: বারাসতের (Barasat) কদম্বগাছিতে তুমুল উত্তেজনা। অভিযোগ, এক নির্দল সমর্থককে মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পীরগাছায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। নির্দলের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে হামলার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত থেকেই উত্তপ্ত হতে থাকে এলাকা। অভিযোগ ওঠে, রাতে নির্দল সমর্থকদের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীর দল। বেধড়ক মারধর করা হয়। তাতেই আবদুল্লা আলি নামে এক নির্দল সমর্থকের মৃত্যু হয় বলে প্রথমে অভিযোগ ওঠে। শনিবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। যদিও পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের দাবি, আবদুল্লা আলি এখনও পর্যন্ত বেঁচে আছেন। তাঁর আঘাত গুরুতর হওয়ায় আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরে হাসপাতাল থেকেও জানানো হয়, জীবিত আছেন তিনি।
এদিন সকালে বুথের ভিতর মারামারি পর্যন্ত হয়। অভিযোগ, সকাল থেকে এলাকায় কোনও পুলিশ বা কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। এদিকে সকাল থেকেই এক মহিলা বুথের গেটের বাইরে বসে পড়েন। কী হয়েছে জানতে চাওয়া হলে জানান, “আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে তৃণমূলের লোকেরা। একচেটিয়া ভোট নেবে বলে রাতে হামলা করেছে। আমিও কাউকে ভোট দিতে দেবো না।”
এসডিপিও বারাসত এসেছিলেন ঘটনাস্থলে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ দেখে তিনি গাড়ি ঘুরিয়ে কার্যত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। পুলিশও বুথে ঢুকে গেটে তালা লাগিয়ে দেয় বলে এলাকার লোকজনের দাবি। ভোটারদের একাংশের অভিযোগ, “আমরা সকালে ভোটের লাইনে এসে দাঁড়িয়েছিলাম। কী হল বুঝলাম না, ভোটের লাইনেই মারধর করা হল। নির্দলের লোকেরা মারধর করেছে।” নির্দল সমর্থকদের দাবি, কোনও অবস্থাতেই তাঁরা ভোট দিতে দেবেন না।
একদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে যখন বুথের গেটে তালা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে, পাল্টা এক বৃদ্ধাকে এসে বাইরে থেকেও তালা ঝুলিয়ে দিতে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, ওই মহিলাও নির্দলের সমর্থক। এদিকে এই ঘটনার আঁচ পড়ে টাকি রোডে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাস্তা। রাস্তার উপর শুয়ে পড়েন আবদুল্লার ভাই।
টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন একদল। এ প্রসঙ্গে এক নির্দল সমর্থক বলেন, “টায়ার জ্বলছে। বডিটা বাড়ি আসুক। পলিটিক্স করা আমরা বুঝে নেব। ভাল মানুষ বাড়ি ফিরছিল। পিটিয়ে মেরে দিল। নারকেল গাছ চিহ্নে দাঁড়িয়েছিল প্রার্থী। গ্রামের মানুষ তৃণমূল প্রার্থীকে চায় না, নির্দলকে চায়।” ঘটনাস্থলে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আবদুল্লার বাড়ির লোকের সঙ্গে কথাও হয় তাঁর।