AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Thakurbari: ঠাকুরবাড়িতে আরও চওড়া ফাটল! আমরণ অনশনে বসলেন মমতাবালা ঠাকুর

Thakurbari: এদিকে, এই এসআইআর আবহে আরও চওড়া হয়েছে মতুয়া বাড়ির ফাটল। মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে মতুয়া মহাসঙ্ঘের তৃতীয় সমান্তরাল কমিটি গঠন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের। একই সংগঠনের নামে নতুন কমিটি গঠন। উপদেষ্টা মণ্ডলীর তালিকায় আবার চমক দিয়েছেন সুব্রত।

Thakurbari: ঠাকুরবাড়িতে আরও চওড়া ফাটল! আমরণ অনশনে বসলেন মমতাবালা ঠাকুর
ঠাকুরবাড়িতে আমরণ অনশনে মমতাবালা ঠাকুরImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 05, 2025 | 1:29 PM
Share

উত্তর ২৪ পরগনা: SIR ইস্যুতে আমরণ অনশনে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। ঠাকুরবাড়িতে নিজের বাড়ির সামনেই অনশনে বসেছেন মমতাবালা ঠাকুরের অনুগামীরা। তাঁর বক্তব্য, এসআইআর হলে মতুয়াদের নাম কাটা যাবে। মমতাবালা ঠাকুর নিজেই এই অনশনের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু যখন এই খবর সম্প্রচারিত হচ্ছে, তখন তিনি অনশন মঞ্চে ছিলেন না। বিশেষ কাজে বাইরে ছিলেন। অনশনকারীদের দাবি, নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশি ঘোষণা ও বাংলাদেশি কাগজ নিয়ে নাগরিকত্ব নয়। ২০২৪ সাল পর্যন্ত যে সমস্ত মানুষ বাংলাদেশ থেকে ছিন্নমূল হয়ে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দিতে হবে।

মতুয়া মহাসঙ্ঘের পদাধিকারীরা অনশন মঞ্চে রয়েছেন। এক আন্দোলনকারী বলেন, “যতক্ষণ না সরকার আমাদের দাবি দাওয়া মানছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”

এদিকে, এই এসআইআর আবহে আরও চওড়া হয়েছে মতুয়া বাড়ির ফাটল। মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে মতুয়া মহাসঙ্ঘের তৃতীয় সমান্তরাল কমিটি গঠন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের। একই সংগঠনের নামে নতুন কমিটি গঠন। উপদেষ্টা মণ্ডলীর তালিকায় আবার চমক দিয়েছেন সুব্রত। সেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে অসীম সরকার, স্বপন মজুমদার, অশোক কীর্তনিয়ার নাম রয়েছে। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের নামে এতদিন দুটো আলাদা কমিটি চলত। একটি অংশ বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে সঙ্ঘাধিপতি হিসাবে মানে, অন্যটি তৃণমূলের মমতাবালাকে। শান্তনুর মতো সুব্রতও তাঁর বাবা প্রধান সেবায়ত পদে রেখেছেন। উল্লেখ্য, এই শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বেই ক্যাম্প করে হিন্দুত্বের সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ চলছে। যা নিয়ে মতুয়ারা CAA-তে নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারে।

 শান্তনু ঠাকুর আশ্বাস দিয়েছেন, “আমরা বলব আপনারা সিএএ-তে আবেদন করুন। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করব যাঁদের ২০০২ সালের লিস্টে নাম নেই তাঁদের নাম যেন না কাটা হয়।”  একই আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। যদিও মমতা বালা ঠাকুর প্রথম থেকেই বলছেন, “মতুয়াদেরকে ধোঁয়াশার মধ্যে ফেলে দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। মিথ্যা কথা বলছেন। নাগরিকত্বের আবেদন করলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাবে না,  এমন কোন আইন নেই।”  তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্পষ্ট করেছেন, ওই CAA ক্যাম্পে গেলে অসমের মতো ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেবে।