উত্তর ২৪ পরগনা: জেলায় জেলায় ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) ক্যাম্পে উপচে পড়ছে ভিড়। মূলত রাজ্য সরকারের নয়া প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের সুবিধা নিতেই এই ব্যাপক জনসমাগম। এমনই এক সরকারি ক্যাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে কাণ্ড ঘটিয়ে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান। মাটির তৈরি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কিনে এনে সেখান থেকে ৫০০ টাকা করে ৩০ জন মহিলার হাতে তুলে দেন তিনি।
নিজের সঞ্চিত ৫০০ টাকা করে সাধারণ মানুষকে দিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে সমালোচনার মুখে পড়লেন চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী। আর এই ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে দেগঙ্গায়। চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোসাইপুর এফপি স্কুলে মুখ্যমন্ত্রীর দুয়ারে সরকার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ এর ফর্ম ফিল-আপের আবেদনের পাশাপাশি আর মানুষের অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য আবেদনপত্র জমা পড়ে। দেখা যায়, চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী নিজের টাকা দিয়ে লক্ষ্মী ভাঁড় কিনে স্থানীয় মহিলাদের হাতে দিয়ে প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে দিয়ে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা দেওয়ার আগে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নিজের তহবিল থেকে টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
বিজেপির কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম ফিল-আপ চলছে। সকল মানুষের অ্যাকাউন্ট নম্বর নেওয়া হচ্ছে তার পরে সেগুলো খতিয়ে দেখার পরে মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তার আগেই ৫০০ কোটি টাকা করে মানুষকে দিয়ে প্রভাবিত করছেন। এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি। আর এই টাকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কোথায় পেল তার তদন্ত হওয়া উচিত।
এদিকে পঞ্চায়েত প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী দাবি করেছেন তিনি সম্পূর্ণ তার নিজের সঞ্চিত টাকা দিয়ে মানুষকে দিয়ে উৎসাহিত করতে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দিতে এই টাকা দিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। তাঁর দাবি, “এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। মানুষকে প্রভাবিত করারও প্রশ্ন নেই। শুধুমাত্র আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎসাহিত করার জন্য এই কাজ করেছি।”
তবে এ বিষয়ে দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক সাহাজি বলছেন, পঞ্চায়েত প্রধান হুমায়ুন চৌধুরী যে কাজটি করেছে সেটা করা উচিত হয়নি। তবে তাঁর মন্তব্য, আবেগপ্রবণ হয়ে মেয়েদের হাতে নিজের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তুলে দেন। ৫০০ করে টাকা দেন। পরে সেই টাকা সব ফেরত নিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে বিজেপির সব জিনিসের মধ্যে রাজনীতি করতে চাইছে। সমালোচনা করতে চাইছে। তাতে তৃণমূলের কিছু যায় আসে না। আরও পড়ুন: ‘টিকাকরণে প্রথম বাংলা’, টিভি নাইনে খবরের জেরে উধাও ‘বিতর্কিত’ হোর্ডিং!