
হালিশহর: প্রায়শই নাকি দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু অতটা নজর দেন না তিনি। সে কথা আবার নিজের মুখেই স্বীকার করলেন। তবে সোমবার মৃত্যুর খবর পেতেই একেবারে ছুটলেন সেখানে। কিন্তু যখন গেলেন, সে সময় জল হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন এলাকাবাসী। ঘটনাস্থল হালিশহর। বিক্ষোভের পাশাপাশি চলল পথ অবরোধ। পরে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে তাঁরা। ঘটনাটি ঘটেছে হালিশহরে ঘোষপাড়া রোডে।
রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের হাজিনগর হুকুমচাঁদ জুটমিলের ব্যাচিং বিভাগের শ্রমিক মিঠু সাউয়ের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। এরপর সোমবার সন্ধেয় তাঁর দেহ এনে মিলের মধ্যে রাখেন ওই শ্রমিকের পরিবার সহ এলাকাবাসীরা। প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। পরিবারের দাবি মিল কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মৃতের আত্মীয় বলেন, “মিলে দুর্ঘটনা ঘটেছে। যে চিকিৎসা প্রয়োজন তা পায়নি। কিন্তু তার মধ্যেই মৃত্যু হয়ে গেছে।”
এ প্রসঙ্গে এলাকার কাউন্সিলর অশোক কুমার আদক বলেন, “শুনেছি এই মিলে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখানে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। আমি জনপ্রতিনিধি হতে পারি। কিন্তু অতটা নজর রাখি না। মিলে কম বেশি দুর্ঘটনা প্রায়ই হয়। তাই অতটা ভ্রুক্ষেপ করিনি। পরে শুনলাম লোকটা মারা গিয়েছে। সঙ্গে-সঙ্গে ছুটে এলাম। শুনছি বাড়ির লোকে টাকা-পয়সা চাইছে। আর ম্যানেজমেন্ট থেকেও চেষ্টা করছি যদি কিছু টাকা পয়সা পাওয়া দেওয়া যায়। জানি যিনি চলে গেছেন আর ফিরে আসবেন না। তবে ওঁর প্রাপ্য উনি পাবেন।”