SIR: নাম ছিল না ২০০২ সালের তালিকায়, বীরভূমে আত্মহত্যা বৃদ্ধের, পরিবার বলছে SIR আতঙ্ক

Birbhum: বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "মৃত্যু দুঃখের। সারা পশ্চিমবঙ্গে কে কে আত্মহত্যা করলেন সেটা তৃণমূল এভাবে SIR-NRC আতঙ্কে ঢুকিয়ে দেয় তাহলে তা কল্পনার অতীত। এটা দাঁড়াচ্ছে না। তৃণমূলের বোঝা উচিত এতদিন বলে আসছিল না যে, বাঙালি মার খাচ্ছে... এইসব বোধহয় এখন আর চলবে না। কারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে সবটা।" আর মৃত এই ক্ষিতীশবাবুকে 'শহিদ' আখ্যা দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, "এটা আত্মহত্যা নয়। উনি শহিদ হয়েছেন। এই প্রত্যেকটা প্রাণের মূল্য বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে চোকাতে হবে। বাঙালিদের প্রাণের মূল্য ওদের কাছে ছিল না। কেন আমরা বারবার বলছিলাম? এর জবাব কিন্তু সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীকে দিতে হবে।"

SIR: নাম ছিল না ২০০২ সালের তালিকায়, বীরভূমে আত্মহত্যা বৃদ্ধের, পরিবার বলছে SIR আতঙ্ক
মৃতের মেয়ে ও নাতনিImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 30, 2025 | 1:37 PM

বীরভূম: উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ার পর এবার বীরভূম। আবারও আত্মহত্যা। পরিবারের দাবি, SIR আতঙ্কের জন্যই নিজের জীবন শেষ করে দেন ওই বৃদ্ধ। ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকে। জানা গিয়েছে,মেয়ের বাড়ি গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বৃদ্ধ বাবা। দেহ ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

মৃতের নাম ক্ষিতীশচন্দ্র মজুমদার। বাড়ি ইলামবাজার ব্লকে। তিনি স্কুলবাগান সুভাষপল্লীতে মেয়ের বাড়িতে এসে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। পরিবার সূত্রে খবর, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। মৃতের মেয়ের দাবি, এসআইআর আতঙ্কেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। মৃতের মেয়ে বলেন,”প্রতিদিনের মতোই বাবা খাবার খেয়ে শুয়েছিলেন। সকালে এসে দেখি বাবা গলায় দড়ি দিয়েছে। বাবা তো আমাদের কিছু বলত না। বাইরে থেকে শুনে এসেছিল SIR নিয়ে।” তিনি আরও বলেন, “বাবার ভোটার কার্ড ছিল। তবে ২০০২ এর লিস্টে নাম ছিল না। তবে এসআইআর নিয়ে মনে মনে ভয় পাচ্ছিল।”

বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মৃত্যু দুঃখের। সারা পশ্চিমবঙ্গে কে কে আত্মহত্যা করলেন সেটা তৃণমূল এভাবে SIR-NRC আতঙ্কে ঢুকিয়ে দেয় তাহলে তা কল্পনার অতীত। এটা দাঁড়াচ্ছে না। তৃণমূলের বোঝা উচিত এতদিন বলে আসছিল না যে, বাঙালি মার খাচ্ছে… এইসব বোধহয় এখন আর চলবে না। কারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে সবটা।” আর মৃত এই ক্ষিতীশবাবুকে ‘শহিদ’ আখ্যা দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, “এটা আত্মহত্যা নয়। উনি শহিদ হয়েছেন। এই প্রত্যেকটা প্রাণের মূল্য বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে চোকাতে হবে। বাঙালিদের প্রাণের মূল্য ওদের কাছে ছিল না। কেন আমরা বারবার বলছিলাম? এর জবাব কিন্তু সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীকে দিতে হবে।”

পরিবারের আরও এক সদস্য বলেন, “আমাদের আবেদন এই SIR যেন বন্ধ হয়। বিজেপি সরকার যা করছে তাতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের খুবই অসুবিধা। আমরাও ভয়ে আছি। আরও অনেকেই আতঙ্কে আছি। আমার দাদু আগের দিনের মানুষ। বাংলাদেশ থেকে এখানে এসেছেন অনেক দিন আগে। তবে ভোটার কার্ড আর আধার কার্ড কিছুই ছিল না। তাই অত কাগজকে গুরুত্ব দেয়নি। দাদুর নাম ২০০২ সালের তালিকায় ছিল না। এখন যদি তাড়িয়ে দেয় কোথায় যাবেন, সেই ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন।”

উল্লেখ্য, সোমবার এসআইআর ঘোষণার পরই খবর আসে আত্মহত্যার। আগরপাড়ায় প্রদীপ কর নামে এক প্রৌঢ় আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরিবারের দাবি, এনআরসি আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এরপরই তাঁর বাড়ি যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ‘জাস্টিস ফর প্রদীপ কর’ স্লোগানও দেন। কিন্তু তার মধ্যেই এ রাজ্যে আরও একটি মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। বস্তুত, গতকাল কোচবিহারের দিনহাটায় আরও এক বৃদ্ধ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।