
আসানসোল: গরুপাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেই মামলা এ রাজ্য থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিতও হয়েছে। তবে এরপরও কি বন্ধ হয়েছে গরুপাচার? আসানসোলের ছবি প্রায় এক। ৩৮টি গরু বোঝাই বড় লরি ধরা পড়ল জাতীয় সড়কের উপর। মৃত্যুও হয়েছে একটি গরুর।
এবারের ঘটনাস্থলে আসানসোলের নিঘা। অভিযোগ, নিঘার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি গরু বোঝাই লরি আটক করে জামুরিয়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে লরি করে গরুপাচার হচ্ছিল। পুলিশ গরু বোঝাই সেই লরিটি আটক করেছে। জানা গিয়েছে, লরির ভিতরে ১৮ টি গরু এবং ১৩ টি বাছুর ছিল। গরু বোঝাই লরির কাগজ পত্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অভিযোগ, ওই লরির চালক এবং খালাসি ইতিমধ্যেই পালিয়ে গিয়েছে। সেই কারণে কাগজপত্র ঠিকমতো পুলিশের হাতে আসেনি। অন্যদিকে, লরিটির নম্বর পশ্চিমবাংলার। তাই ঝাড়খণ্ড থেকে লরিটি কোথায় যাচ্ছিল সেই নিয়ে ধন্দে রয়েছে। এ দিকে, যেভাবে গাদাগাদি করে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাতে একটি বাছুর মারা গিয়েছে। বেশ কয়েকটি অসুস্থ বলে অভিযোগ। আপাতত একটি গোয়ালায় গরুগুলিকে রাখা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। স্থানীয় বিজেপি কর্মী ব্রিজভূষণ বলেন, “চোখের সামনে গরু পাচারের ঘটনা দেখলাম। তবে কোথা থেকে আসছিল জানা যায়নি। এতদিন শুনছিলাম। এখন সামনা-সামনি দেখছি।”