দুর্গাপুর: দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ক্যান্টিন চালাতেন বাসুদেব চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার রাতে বাসুদেব চট্টোপাধ্যায় সহ আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বাকি দুই ধৃতের নাম শঙ্কর ভৌমিক ও চঞ্চল সমাদ্দার।
ধৃত চঞ্চল সমাদ্দারের স্ত্রী প্রতিমা সমাদ্দারের মৃত্যু হয় চলতি বছরের জুন মাসের ২৫ তারিখে। গত ২৯ জুন সরকারিভাবে মৃত্যুর শংসাপত্র তৈরি হয়। এরপরেই নজরে আসে, প্রয়াত প্রতিমা সমাদ্দারের নামে বছর খানেক আগেই মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মৃত্যুর আগেই ইস্যু করা হয়েছে মৃত্যুর শংসাপত্র।
অভিযোগ, চঞ্চল সমাদ্দার তাঁর স্ত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে গেলে বিষয়টি নজরে আসে। দুর্গাপুরের কাঁকসার গোপালপুর পঞ্চায়েতের কাছে বিষয়টি পৌঁছলে নড়চড়ে বসেন পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। মূল অভিযোগ হল, অনৈতিক উপায়ে মৃত্যুর শংসাপত্র তৈরি করা হয়েছে।
ধৃত বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি জানান, যাঁর ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে, তিনি বেঁচে আছেন। কাঁকসা থানার পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে, কেন জীবিত অবস্থায় মৃত্যুর শংসাপত্র তৈরি করা হয়েছিল। ওই শংসাপত্র নিয়ে কোনও অনৈতিক কাজ করা হয়েছিল কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্ত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করার জন্য গিয়ে জানতে পারা যায় এই সার্টিফিকেটের কথা। ঘটনার তদন্ত চাইছেন গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রীনন্দা রায় মহান্তি।