আসানসোল: স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। সেই অভিযোগ সামনে আসার পর থেকে পলাতক ছিলেন শিক্ষক। দীর্ঘদিন পর তিনি হাজির স্কুলে। আর তারপরই শুরু হয়েছে অভিভাবকদের বিক্ষোভ। বুধবার স্কুল চলাকালীন স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেকান অভিভাবকরা। ‘চোর মাস্টারকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া যাবে না’, এ কথা বলছেন তাঁরা।
ক্ষোভে রীতিমতো ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। তালা দেওয়ার ফলে স্কুলের ভিতরেই থেকে যায় পড়ুয়া থেকে শিক্ষকরা। আসানসোলের উত্তর থানার বাবুতলার কাজি নজরুল ইসলাম উর্দু ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের ঘটনা।
অভিযোগ ছিল, বছর দেড়েক আগে স্কুল তহবিল থেকে জাল সই করে একাধিকবার ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নেন স্কুলেরই তৎকালীন টিচার ইনচার্জ সৈয়দ আলম কাদরী।
প্রায় ৭ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্কুলেরই তৎকালীন টিচার ইনচার্জ সৈয়দ আলম কাদরীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর ওই সময় সৈয়দ আলম কাদরীর বিরুদ্ধে আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। তারপরেও পুনর্বহালের চিঠি নিয়ে স্কুলে পুনরায় যোগ দেন ওই শিক্ষক। অভিভাবকদের প্রশ্ন, কীভাবে একজন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত না করে পুনরায় তাঁকে স্কুলে আসতে বলা হল? তাই এদিন স্কুল চলাকালীন স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন অভিভাবকরা।
অভিযুক্ত শিক্ষক সৈয়দ আলম কাদরী জানান, তিনি এতদিন ব্যক্তিগত ছুটিতে ছিলেন। কেন এই বিক্ষোভ হচ্ছে, তা তাঁরা জানা নেই বলে দাবি করেছেন। কাউন্সিলর বলেন, স্কুলে বিক্ষোভ চললেও মিড ডে মিল চালু রাখা হয়েছে। স্লোগান দিতে দেওয়া হয়নি। তবে এই বিক্ষোভ ন্যায়সঙ্গত।