Anubrata Mondal: ‘মাথায় ব্যথা, ব্যালেন্স পাচ্ছি না, জামিনটা দিয়ে দিন স্যর’, তিহাড় থেকে কাতর আর্জি কেষ্টর

Chandra Shekhar Chatterjee | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 07, 2023 | 5:36 PM

Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডল উত্তর দেন, "হ্যাঁ নিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালে। চিকিৎসা ভাল হচ্ছে।" তারপরই অনুব্রত বলেন, "এবার বেল দিয়ে দিন স্যর। ৯ মাস হয়ে গেল।"

Anubrata Mondal: মাথায় ব্যথা, ব্যালেন্স পাচ্ছি না, জামিনটা দিয়ে দিন স্যর, তিহাড় থেকে কাতর আর্জি কেষ্টর
অনুব্রত মণ্ডল (ফাইল ছবি)

Follow Us

আসানসোল: “শরীর ভাল নেই। হাতে পায়ে যন্ত্রণা। মাথায় ব্যথা। ব্যালেন্স পাচ্ছি না। সুগার ২৫০। জামিনটা দিয়ে দিন স্যর।” তিহাড় জেল থেকে আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারককে কাতর আর্জি জানালেন অনুব্রত মণ্ডল। ১১ মে শেষবার তিহাড় জেল থেকে আসানসোল সিবিআই আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডল ও সায়গল হোসেনের। ওইদিন সায়গল বাজেয়াপ্ত হওয়া গয়না ফেরতের দাবি করেছিলেন আইনজীবী মারফত। অনুব্রত ওইদিন বিচারককে জানিয়েছিলেন, তাঁর চালমিলে চুরি হচ্ছে। শ্রমিকদের টাকা দিতে পারছেন না। উল্লেখ্য, সিবিআই আদালতে ভোলে বোম রাইসমিলের অ্যাকাউন্ট ডি’ফ্রিজের আবেদন করেছিলেন কেষ্ট।

পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয় ৭ জুন। এর মাঝে গরমের ছুটি ছিল আদালত। আদালত খোলার পর ৭ জুন অর্থাৎ বুধবার ফের আসানসোল সিবিআই আদালতে তিহাড় থেকে অনুব্রত ও সায়গলের ভার্চুয়াল শুনানি হয়। যদিও সায়গলের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেননি। অনুব্রত মণ্ডল ও বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তাও হয়।

বিচারক অনুব্রতর কাছে জানতে চান, “শরীর কেমন আছে অনুব্রতবাবু? শরীর খারাপ হলে আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে তো?”

অনুব্রত মণ্ডল উত্তর দেন, “হ্যাঁ, নিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালে। চিকিৎসা ভাল হচ্ছে।” তারপরই অনুব্রত বলেন, “এবার বেল দিয়ে দিন স্যর। ৯ মাস হয়ে গেল।”

বিচারক ফের প্রশ্ন করেন, “আপনার তো হাইকোর্ট থেকে জামিন খারিজ হয়েছে। অন্য মামলায় আপনি তিহাড় জেলে আছেন। আমি চাইলেই তো জামিন দিতে পারি না। আপনার আইনজীবীকে পিটিশন জমা করতে বলুন। দু’পক্ষের শুনে কিছু বলতে পারব।”

বিচারকের কাছে অনুব্রত কাতর আর্জি করেন, “স্যর শরীর ভাল নেই। হাতে পায়ে যন্ত্রণা। মাথায় ব্যথা। ব্যালেন্স পাচ্ছি না। সুগার ২৫০।”

বিচারক তখন বলেন, “আমরা আগেও ভাল চিকিৎসার জন্য তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে বলেছি। আবারও ভাল চিকিৎসার জন্য অর্ডার কপিতে লিখে দিচ্ছি।” অনুব্রতর জামিনের আর্জি এদিন খারিজ হয়ে যায় বটে, তবে কেষ্ট দৃশ্যত ছিলেন বিধ্বস্ত।

Next Article