Madhyamik Exam Result: স্কুলে প্রথম! আর একটু হলেই মেধাতালিকায়.. নিজের রেজাল্ট ‘আকাশ’ থেকে দেখল থৈবি

Madhyamik Exam Result: পরিবারের সদস্যরা বলছেন শুধু পড়াশোনা নয়, আঁকা থেকে গান, সব কিছুতেই ছিল তুখোর। থৈবির বাবা বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় পেশায় হোমিওপ্যাথি ডাক্তার। মা পিউ মুখোপাধ্যায় গৃহবধূ। কিন্তু, মন ভাল নেই কারও।

Madhyamik Exam Result: স্কুলে প্রথম! আর একটু হলেই মেধাতালিকায়.. নিজের রেজাল্ট ‘আকাশ’ থেকে দেখল থৈবি
শোকের ছায়া গোটা পরিবারে Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

May 02, 2025 | 5:27 PM

আসানসোল: ছোট থেকেই এলাকায় মেধাবী ছাত্রী বলে পরিচিত। স্কুলেও টপার। মাধ্যমিকের রেজাল্ট বের হতেও দেখা গেল একেব্বারে  ৯৬.২৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে সকলকে চমকে দিয়েছে মেয়েটা। নম্বর ৬৭৪। কিন্তু, তারপরেও মন ভাল নেই পরিবারের সদস্যরা। চোখে জল অত্মীয়দের। আসানসোল উমারানি গড়াই স্কুলের সব সময়ের টপার থৈবি মুখোপাধ্যায়ের এই দুর্দান্ত রেজাল্টের পরেও বিষাদের ছায়া এলাকায়। কারণ, রেজাল্ট এলেও যাঁর রেজাল্ট সেই আর পৃথিবীতে নেই। লিভার জন্ডিস কেড়েছে থৈবির প্রাণ। ১৬ এপ্রিল মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে মেয়েটা। 

পরীক্ষার আগে জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ছিল থৈবি। পরিবারের লোকজন বলছেন, পেটে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিল। শুধমাত্র সুস্থ ছিল বাংলা পরীক্ষার দিন। আর বাংলাতেই তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৯। কিন্তু, তারপর থেকে যে যে পরীক্ষা দিয়েছিল সব ক’টিই দিয়েছে শরীর খারাপ নিয়ে। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তার ছাপ দেখে গিয়েছে রেজাল্টেও। অঙ্কে ৯৮, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৭, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ৯৫, ভূগোলে ৯৫। অনেকেই বলছেন, শরীর খারাপ না থাকলে থৈবির যা মেধা ছিল তাতে ও রাজ্যে শীর্ষস্থান দখল করতে পারতো। 

পরিবারের সদস্যরা বলছেন শুধু পড়াশোনা নয়, আঁকা থেকে গান, সব কিছুতেই ছিল তুখোর। থৈবির বাবা বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় পেশায় হোমিওপ্যাথি ডাক্তার। মা পিউ মুখোপাধ্যায় গৃহবধূ। মেয়েকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে তাঁরা। জানাচ্ছেন, চিকিৎসার জন্য চেন্নাই থেকে ভেলোর সব জায়গায় যান। লিভার ট্রান্সফার করার জন্য ১ কোটি টাকা দরকার ছিল। চিকিৎসার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদনেও করা হয়। এগিয়ে আসে স্কুল থেকে শহরবাসী। ৪৫ লক্ষ টাকা উঠেও গিয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মাধ্যমিকের রেজাল্টের দিনের মন বিষাদের মেঘ যাতে আরও দানা না বাঁধে তাই থৈবির মা-বাবা আপাতত বাড়ির বাইরে। বাড়িতে থৈবির বৃদ্ধ দাদু ও ঠাকুমা। নাতনির ছবি বুকে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তাঁরা।