
আসানসোল: লাপাত্তা বিহারীবাবু! ছটপুজোর সময় আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা নিখোঁজ। এমনই নিখোঁজ পোস্টার দেখা গেল কুলটি ও বরাকরে। কুলটি স্টেশন সংলগ্ন এবং বরাকর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা নিখোঁজ পোস্টার দেখা গেল। পোস্টারের নীচে লেখা “আসানসোল কী জনতা”! তবে এই জনতা কারা, তা অবশ্য রহস্যময়।
তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য বিজেপিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। সস্তার রাজনীতি করতে ছট পরবে এই ধরণের পোস্টার তারাই লাগিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতার। উল্টে তাদের অভিযোগ, কুলটির বিজেপি বিধায়ককে সারা বছর দেখা যায় না।
কুলটির তৃণমূল ব্লক সভাপতি কাঞ্চন রায় বলেন, “এটা বিজেপির কাজ। আসলে রাজনৈতিকভাবে আমাদের সঙ্গে লড়ে উঠতে পারছে না। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে আমাদের প্রত্যেক কর্মী, নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রী মলয় ঘটক-সহ সকলেই ছটপুজোয় এলাকাবাসীর পাশে থেকে সাহায্য করছি। সাংসদ প্রত্যেক মাসেই এখানে আসেন। আমাদের সঙ্গে থাকেন। প্রত্যেকটা বিষয়ে খোঁজ নেন। আসলে ওরা এটাকে ইস্যু করছে।”
বিজেপি নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের পাল্টা দাবি, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রকাশ। জেলা বিজেপি সহ সভাপতি কেশব পোদ্দার বলেন, “আমরা একটা সংবাদমাধ্য়মের থেকেই খবর পেয়েছি, যে রেল স্টেশনের আশপাশে কোথাও এরকম পোস্টার পড়েছে। এর পিছনে তৃণমূলেরই কেউ রয়েছে। এখানে তৃণমূলের একদল নেতা ক্ষমতা পেয়েছেন হাতে, যাঁরা পাননি, তাঁরাই এই ধরনের পোস্টার ফেলেছে।” তবে সাংসদের বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা ঠিক, শাসকদল এখান থেকে বিহারী প্রতিনিধি হিসাবেই অভিনেতাকে সংসদে পাঠিয়েছিল। আজ বিহারীদের এত বড় উৎসবে তিনি এখানে নেই। দুর্গাপুজোতেও ছিলেন না।”
উল্লেখ্য, গত বর্ষায় আসানসোল বানভাসি হয়েছিল। DVC নিয়ে মাইথন, পাঞ্চেত, দুর্গাপুরে লাগাতার আন্দোলন করেছে তৃণমূল বিধায়ক, মন্ত্রীরা। তখনও এলাকায় দেখা মেলেনি সাংসদের। আসানসোলে কোনও দুর্গাপুজো উদ্বোধন বা কার্নিভালেও দেখা যায়নি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে। দেখা যায়নি কালীপুজো বা দীপাবলিতে। এবার ছট পুজোতেও নেই তিনি।