
আসানসোল: আবারও নিরাপত্তারক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যু। আসানসোলের মহিশীলার পর এবার রানিগঞ্জের মঙ্গলপুর। ডিউটিরত অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার নিরাপত্তারক্ষীর ঘর থেকে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান আত্মহত্যার ঘটনা কিন্তু পরিবারের দাবি খুন। মৃতের নাম কুড়ান গোপ(৪৩)।
রানিগঞ্জ মঙ্গলপুর শিল্প তালুকের বেসরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন কুড়ান। হাসপাতালের পাশেই নিরাপত্তারক্ষীদের অস্থায়ী ঘরে কুড়ানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার ঘটনাটি নজরে আসে। রানিগঞ্জের এগারা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁকরডাঙার বাসিন্দা বছর তেতাল্লিশের কুড়ান গোপ বৃহস্পতিবার ডিউটি করতে বেরিয়েছিলেন।
বেসরকারি হাসপাতালে ডিউটি থাকলেও ওই নিরাপত্তরক্ষী ঠিকাদারি সংস্থার আওতায় ছিলেন। শুক্রবার অন্য নিরাপত্তারক্ষীরা ডিউটি করতে এসে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে তারা রানিগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির পুলিশকে জানায়। পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে।
মৃতের পরিবারের সদস্যরা পাঞ্জাবী মোড় ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, ঠিকা সংস্থা ও পরিবারের সদস্যদের না জানিয়েই মৃতদেহ পুলিশ রাতারাতি উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। পুলিশ কিছু একটা আড়াল করতে চাইছে। মৃতের দাদা সঞ্জীব গোপের অভিযোগ, ভাইয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রক্তের দাগ রয়েছে। দেহটি ঝুলছিল মাটি থেকে মাত্র তিন ইঞ্চির গ্যাপে। আত্মহত্যা নয় খুন করে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই বেসরকারি হাসপাতালের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অন্তরা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমরা পুলিশকে ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছি।” তদন্ত শুরু করেছে রানিগঞ্জ থানার পুলিশ।