তবসসুমকাণ্ডে তড়িঘড়ি শোকজ এক চিকিৎসক-দুই নার্সকে! কারণ দর্শানোর চিঠি তৃণমূলের অভিযুক্ত নেত্রীকেও

Asansol Vaccine Case: এদিনের ঘটনা নিয়ে তবসসুম যথাযথ জবাব দিতে পারেননি। কখনও বলেছেন, তিনি ইনজেকশন দেননি। সিরিঞ্জটা ধরে রেখেছিলেন। আবার জানিয়েছেন, তাঁদের স্কুলে নাকি নার্সিংয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।

তবসসুমকাণ্ডে তড়িঘড়ি শোকজ এক চিকিৎসক-দুই নার্সকে! কারণ দর্শানোর চিঠি তৃণমূলের অভিযুক্ত নেত্রীকেও
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2021 | 7:33 PM

পশ্চিম বর্ধমান: আসানসোলের বিদায়ী ডেপুটি মেয়রের ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘটনা ঘিরে একদিকে যেমন চিকিৎসকমহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। একইভাবে রাজনৈতিক চাপানউতরও ক্রমবর্ধমান। এরই মধ্যে বড়সড় পদক্ষেপ পুরনিগমের। এক চিকিৎসক-সহ দুই নার্সকে কারণ দর্শানোর চিঠি ধরালেন পুর কমিশনার। অন্যদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী তবসসুম আরাকেও শোকজের চিঠি দিয়েছেন পুর প্রশাসক। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যভবনের তরফে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে।

শনিবার সকালেই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। যেখানে দেখা যায় আসানসোল পুরনিগমের বিদায়ী ডেপুটি মেয়র তবসসুম আরা এক মহিলাকে ভ্যাকসিন দিচ্ছেন। কী ভাবে একজন প্রশিক্ষণ ছাড়াই এমনটা করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ভুল ভাবে টিকা দেওয়া হলে প্রাণহানির আশঙ্কা পর্যন্ত যেখানে উড়িয়ে দেওয়া যায় না, সেখানে তবসসুমের এমন কাণ্ডে হতবাক সকলে। পাশে চিকিৎসক, নার্স দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা তিনি কী করে ঘটালেন সে প্রশ্নও বাদ যাচ্ছে না।

এরইমধ্যে খবর, আসানসোল ভ্যাকসিনকাণ্ডে এক চিকিৎসক-সহ দুই নার্সকে শোকজ করা হয়েছে। আসানসোল পুরনিগমের কমিশনার নীতীন সিংহানিয়া এই চিঠি ধরিয়েছেন। চিকিৎসক অপূর্বকুমার পান ও দুই নার্স মোনালি ভট্টাচার্য এবং শাহনেওয়াজ পারভিনকে কারণ দর্শানোর চিঠি ধরিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে এই ঘটনায় আসানসোল পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তবসসুম আরাকে শোকজ করেছেন পুরপ্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি যে মহিলাকে বিদায়ী ডেপুটি মেয়র ভ্যাকসিন দিয়েছিলেন, তাঁর দেখাশোনার জন্য পুরনিগমের তরফে একজন চিকিৎসককেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঘাসফুলে নয়া ‘কাঁটা’ তবসসুম! ‘তৃণমূলের নেতারা এবার কি টিকাও দেবে নিজে হাতে?’ প্রশ্ন অগ্নিমিত্রা, ফুয়াদের

এদিনের ঘটনা নিয়ে তবসসুম যথাযথ জবাব দিতে পারেননি। কখনও বলেছেন, তিনি ইনজেকশন দেননি। সিরিঞ্জটা ধরে রেখেছিলেন। আবার জানিয়েছেন, তাঁদের স্কুলে নাকি নার্সিংয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। তিনি সেই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আবার বলেছেন, ইনসুলিন নেন নিজে হাতে। সেই ‘বিদ্যা’ থেকেই এমন কাণ্ড!