Asansol: রাতের কয়েক সেকেন্ডেই সে আসবে, জীবন্ত কবর পড়তে পারেন ছেলেমেয়ে নিয়ে, বিনীদ্র রজনী গোপ পরিবারের, ভয়ে কাঁটা পাড়া

Asansol: রক্তা এলাকার বাসিন্দা গোপ পরিবার। তাঁদের বাড়িতেই এখন ধস। ধসের জেরে বাড়ির বাউন্ডারি দেওয়াল মাটির নীচে। বাগানের মধ্যে শৌচালয়টিও ঝুলে রয়েছে। ধস ক্রমশ এগোচ্ছে ওই  শোওয়ার ঘরের দিকে।

Asansol: রাতের কয়েক সেকেন্ডেই সে আসবে, জীবন্ত কবর পড়তে পারেন ছেলেমেয়ে নিয়ে, বিনীদ্র রজনী গোপ পরিবারের, ভয়ে কাঁটা পাড়া
আসানসোলে ধস-আতঙ্কImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 09, 2024 | 7:30 PM

আসানসোল: বাগান আগেই ধসে গিয়েছে। কয়েক মুহূর্তে ধসেছে দেওয়াল। বারান্দা পর্যন্ত চলে এসেছে আতঙ্ক। কিনারে শৌচালয়।  রানিগঞ্জের পর ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সাঁকতোরিয়া। কুলটির রক্তা গ্রামে ধস-আতঙ্ক মারাত্মক আকার নিয়েছে।  আসানসোল পুরনিগমের ১০৩ নম্বর ওয়ার্ড তথা সাঁকতোড়িয়ার রক্তা উত্তর পাড়ায় এই ঘটনা।

রক্তা এলাকার বাস গোপ পরিবারের। তাঁদের বাড়িতেই এখন ধস। ধসের জেরে বাড়ির বাউন্ডারি দেওয়াল মাটির নীচে। বাগানের মধ্যে শৌচালয়টিও ঝুলে রয়েছে। ধস ক্রমশ এগোচ্ছে ওই  শোওয়ার ঘরের দিকে।

মঙ্গলবার সন্ধ‍্যার পর বুধবারও ধস ভয়াবহ আকার নেয়।  পরিবারের সদস‍্য অসীম গোপ জানিয়েছেন, ধস ক্রমশ গভীর ও আয়তনে বেড়ে চলেছে। আতঙ্কের মধ্যে রাত কাটাতে হয়েছে তাঁদের। একটানা বৃষ্টি হওয়ার পরেই এই ঘটনা। তিনি বলেন, “যখন তখন যা কিছু হয়ে যেতে পারে। বাড়ি ছেড়ে তো অন্য কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। বাচ্চা নিয়ে সংসার। বাড়িতে বয়স্করা থাকে। ভাবতেই পারছি না রাতে ঘুমানোর মধ্যেই না পাছে কিছু হয়ে যায়।”

জানা গিয়েছে, অনেক  বছর আগে এখানে মাটির তলায় ইসিএলের খনি ছিল। ১৯৭৩ সালে রক্তা আন্ডারগ্রাউন্ড মাইনস বা খনিটি বন্ধ হয়ে যায়। এর আগেও এই এলাকায় ধস নেমেছিল। ফলে আতঙ্কে শুধু পরিবার নয় রয়েছে গোটা গ্রামে। অভিযোগ, ইসিএলের গাফিলতি রয়েছে। মাটির তলা থেকে তাঁরা কয়লা তুলে নিলেও, যথাযথ ব‍্যাকফিলিং করেননি।

পুনর্বাসনের দাবিতে গ্রামের বাসিন্দারা ইসিএল সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অবরুদ্ধ হয়ে যায় বরাকর পুরুলিয়া রোড। ইসিএল সদর দফতর সাঁকতোরিয়াতে ক্ষোভ বিক্ষোভ আন্দোলন চলে।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)