
দুর্গাপুর: তাঁরা এক-একজন বড় রায় দিয়েছেন। বিভিন্ন মামলা লড়ছেন, এখনও লড়ছেন। কলকাতা হাইকোর্টের সেই মহিলা বিচারপতিদের একাংশ শনিবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে পৌঁছলেন। কেন? শনিবার দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের দফতরের কনফারেন্স রুমে কলকাতা হাইকোর্টের জাস্টিস জুভেনাইল কমিটির তত্বাবধানে এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নারী-শিশু উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ দফতরের সহযোগিতায় ক্লাস্টার-৫ এর বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেই বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন তাঁরা।
এ দিন, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম ও হুগলি জেলা নিয়ে এই বৈঠক হয়। বৈঠক উপলক্ষে সকাল থেকেই মহকুমা শাসকের দফতরের নিরাপত্তা আঁটোসাটো করা ছিল। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তথা জুভেনাইল জাস্টিস কমিটির চেয়ারপার্সন শম্পা সরকার, কমিটির সদস্য বিচারপতি অমৃতা সিনহা, কমিটির সদস্য বিচারপতি স্মিতা দাস দে। ছিলেন হাইকোর্টের জুভেনাইল জাস্টিস সেক্রেটারিয়েটের সেক্রেটারি মৌ চট্টোপাধ্যায় এবং অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি চার জেলার জেলা বিচারক, অতিরিক্ত জেলা বিচারক ও মহকুমা আদালতের বিচারকরাও বৈঠকে অংশ নেন।
সংশ্লিষ্ট এই বৈঠক প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পশ্চিম বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলা শাসক সঞ্জয় পাল বলেন, “বিচারক ও বিচারপতিরা এসেছিলেন। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসন, কোর্ট সবাই মিলে একসঙ্গে যাতে কাজ করা যায় সেই নিয়েই প্রয়াস। শুধু তাই নয়, কীভাবে অপরাধ কমানো যায়, সচেতনতা আরও কীভাবে বাড়ানো যায় এই সব নিয়েই ছিল বৈঠক।”