Cattle Smuggling Case: বাংলা থেকে দিল্লিতে সরল গরু পাচার মামলা, চাপ বাড়ল অনুব্রতর
ED: ইডি আদালতে মামলা সরানোর জন্য আবেদন জানিয়েছিল। আসানসোলের আদালত সেই আবেদনেই সম্মতি দিল।
পশ্চিম বর্ধমান: দিল্লিতে সরল গরু পাচার মামলা। আসানসোলের সিবিআই আদালত থেকে মামলা স্থানান্তরিত হল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে। স্বভাবতই এই নির্দেশে, চাপ বাড়ল অনুব্রত মণ্ডল, সায়গল হোসেনদের। গত ২৮ জুলাই মামলা সরানোর আবেদন জানিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। সেই আবেদনই মঞ্জুর করেন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এবার বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ কেষ্ট মণ্ডলের বিচার হবে রাজধানীতে। ১১ এপ্রিলের মধ্যে গরুপাচার মামলার সমস্ত কেস রেকর্ড দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিনের এই নির্দেশের পর ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে কোনওভাবেই কেষ্ট যে তাঁর বীর-ভূমে ফিরতে পারবেন না, তা এক প্রকার নিশ্চিত।
আসানসোল সিবিআই আদালতে প্রথম থেকেই গরু পাচারের মামলা চলছে। ইডি সেই মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানিয়েছিল। প্রথমে ইডি আদালতে বোঝাতে ব্যর্থ হয়, কেন তারা দিল্লিতে নিয়ে যেতে চাইছে। তবে বুধবার ইডির তরফে একটি নোটিফিকেশন তুলে ধরা হয়। ২০০৫ সালে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক তা জারি করেছিল। সেই নোটিফিকেশন মোতাবেক ইডি আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ৪৪/১সি ধারায় মামলা স্থানান্তরের আবেদন করতেই পারে।
যদিও এই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। তিনি আবেদন করেন, সিবিআইয়ের মামলার শুনানি যতদিন না শেষ হচ্ছে, ততদিন যেন এই আবেদন স্থগিত রাখা হয়। বিচারক দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনেন। তারপরই বিচারক রায় দেন, এবার দিল্লিতেই এই মামলার শুনানি হবে।
গরু পাচার মামলায় সিবিআই ও ইডি একইসঙ্গে তদন্ত করছে। সিবিআইয়ের হাতেই প্রথম গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। সেই মামলা চলছিল আসানসোলের সিবিআই আদালতে। যদিও পরে ইডি তাঁকে শ্যোন অ্যারেস্ট করে এবং দিল্লির তিহাড় জেলে নিয়ে যায়। ইডির মামলা চলছে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে। যেহেতু আর্থিক প্রতারণা মামলা, তা স্থানান্তরের নিয়ম যে আইনে আছে, এদিন ইডি সেটাই তুলে ধরে।