Kumbh Mela: নগদ ৫ লক্ষ টাকা এল, এল না ডেথ সার্টিফিকেট, ব্যাঙ্কে জমা করতে ভয় পাচ্ছে কুম্ভমেলায় মৃতের পরিবার
Kumbh Mela: কেন নগদে টাকা দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলল মৃতের পরিবার। মৃতের স্ত্রী শর্মিলা রুইদাস বলেন, "তিনজন উত্তর প্রদেশের পুলিশের পোশাকে ও একজন সিভিল ড্রেসে এসেছিলেন। আমাদের নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা দিলেন। বললেন যে কিস্তিতে কিস্তিতে টাকা দেওয়া হবে। তাঁরা এসে টাকা দিয়ে যাবেন। কিন্তু, ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে এল না।"

আসানসোল: মহাকুম্ভ মেলায় পদপিষ্টের ঘটনায় ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই বাড়িতে এসেছিল মৃতদেহ। সেই বিতর্কের পর এবার ক্ষতিপূরণ নিয়ে নতুন বিতর্ক। মৃতের বাড়িতে ক্ষতিপূরণের টাকা এল ঠিকই। কিন্তু উত্তর প্রদেশ সরকারের ক্ষতিপূরণ দিল নগদ টাকায়। ২৫ লক্ষের পরিবর্তে এল ৫ লক্ষ টাকা। নগদ টাকা দেওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে আসানসোলের মৃত ব্যক্তির পরিবার। ডেথ সার্টিফিকেট এখনও কেন পাওয়া গেল না, সেই প্রশ্নও তুলেছে তারা।
মৌনী অমাবস্যায় প্রয়াগরাজে কুম্ভস্নান করতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় জামুড়িয়ার বছর চল্লিশের বিনোদ রুইদাসের। দুর্ঘটনার পর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেন, মৃতদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। সেই ক্ষতিপূরণের প্রথম কিস্তির নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা বিনোদ রুইদাসের পরিবারের হাতে তুলে দিলেন উত্তর প্রদেশ সরকারের আধিকারিকরা। বুধবার রাতে উত্তর প্রদেশ সরকারের পুলিশ এসে মৃতের পরিবারের হাতে কোনও নথি ছাড়াই এই নগদ টাকা তুলে দেয়।
এই নিয়ে শুরু হল বিতর্ক। কেন নগদে টাকা দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলল মৃতের পরিবার। মৃতের স্ত্রী শর্মিলা রুইদাস বলেন, “তিনজন উত্তর প্রদেশের পুলিশের পোশাকে ও একজন সিভিল ড্রেসে এসেছিলেন। আমাদের নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা দিলেন। বললেন যে কিস্তিতে কিস্তিতে টাকা দেওয়া হবে। তাঁরা এসে টাকা দিয়ে যাবেন। কিন্তু, ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে এল না। ওটাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আমরা ভেবেছিলাম, ডেথ সার্টিফিকেট আনবে। তা না এনে নগদে টাকা দিয়ে গেল। টাকা দেওয়ার কোনও প্রমাণ দিয়ে যায়নি। কিন্তু, এই টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিতে গেলে তো প্রশ্ন তুলবে। আমরা গরিব মানুষ। এত টাকা কোথায় পেলাম? আমরা চাই, ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কিংবা চেকে টাকা দেওয়া হোক।”
এই খবরটিও পড়ুন




কুম্ভমেলায় মৃতদের এভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়েও আমরা বারবার যেটা বলেছি, ব্যবস্থাপনার বিষয়টি উত্তর প্রদেশ সরকার গড়বড় করে ফেলেছিল। কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য করেও ব্যবস্থাপনা ছিল না। ময়নাতদন্ত না করে মৃতদেহ পাঠিয়ে দিয়েছেন। ডেথ সার্টিফিকেট নেই। এখন আবার ক্ষতিপূরণ নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন মৃতদের পরিজনরা। নথির সমস্যা। মৃতদের পরিবারকে বিপদের মুখে ঠেলে দিল।”





