
দুর্গাপুর: একমাসের মাথায় দুর্গাপুর গণধর্ষণ-কাণ্ডের চার্জ গঠন করল আদালত। দশ দিনের জেল হেফাজত শেষে অভিযুক্ত ছয় জনকে সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। অভিযুক্ত সহপাঠী আইনজীবী শেখর কুণ্ডু নির্দোষের পিটিশন পেশ করেন বিচারকের কাছে। তারপরেই বিচারক বেশ কিছুক্ষণের জন্য চলে যান। আবার আদালতে প্রবেশ করে অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক লোকেশ পাঠক জামিনের আবেদন খারিজ করে চার্জ গঠন করার নির্দেশ দেন।
এ দিন, সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় অভিযুক্তদের সামনে তুলে ধরেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোন কোন অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। এর পাশাপাশি বাকি যে সকল অভিযুক্ত রয়েছেন তাঁদের নামে গণধর্ষণ এবং ডাকাতির অভিযোগ। একই সঙ্গে আরও একাধিক মামলা উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। তারপরেই বিচারক ধৃতদের ফের নয় দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ১৯ তারিখ থেকে শুরু হবে এই মামলার ট্রায়াল।
সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নির্যাতিতার সহপাঠীর জামিন খারিজ হয়েছে। এদিন আদালতে চার্জ গঠন হয়েছে। ১৯ নভেম্বর থেকে ট্রায়াল শুরু হবে। আর যাদের রাজসাক্ষী হতে বলা হয়েছিল তাঁরাও রাজি হননি বলে জানান। প্রসঙ্গত, দুর্গাপুরের এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়াকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরই বন্ধু। তখনই চলে নির্মম অত্যাচার। অভিযোগ ওঠে গণধর্ষণ করা হয় ওই ছাত্রীকে। এই ঘটনার পরই গ্রেফতার করা হয় বাকি অভিযুক্তদের। তারপর নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হন মেয়েটির সহপাঠী।