
দুর্গাপুর: দুর্গাপুরকাণ্ডে জামিন পেলেন না নির্যাতিতা ডাক্তারি পড়ুয়ার সহপাঠী। বুধবার তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পাশাপাশি আরও তিন অভিযুক্তকে এদিন তোলা হয় আদালতে। চারজনকেই জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বিচারক। ২৭ অক্টোবর ফের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২৪ অক্টোবর টিআই প্যারেড করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এদিন আদালতে নির্যাতিতার ধৃত সহপাঠীর জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী প্রজ্ঞাদীপ্ত রায়। তিনি আদালতে নিজের সওয়ালে বলেন, নির্যাতিতা নিজের ইচ্ছেয় তাঁর মক্কেলের সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের বাইরে গিয়েছিল। নির্যাতিতার প্রথম জবাববন্দিতেই সেকথা রয়েছে। নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁর মক্কেলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ধর্ষণেরও অভিযোগ হয়নি তাঁর বিরুদ্ধে। তাই তাঁর মক্কেলকে জামিন দেওয়া হোক। নির্যাতিতার সহপাঠীর জামিনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী বিভাষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নির্যাতিতা এরপর ফের জবানবন্দি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁকে ফুচকা খাওয়ার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন সহপাঠী। ধৃত সহপাঠী জোর করে তাঁর শ্লীলতাহানি করেন বলেও জবানবন্দিতে জানিয়েছেন নির্যাতিতা।
আদালতে সরকারি আইনজীবী বিভাষ চট্টোপাধ্যায় আরও জানান, নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁর ধৃত সহপাঠীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট বিশ্লেষণ করলে অনেক তথ্য সামনে আসবে। আজই সেই কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন বিচারক। তারপরই নির্যাতিতার সহপাঠী ও বাকি তিন ধৃতকে পাঁচদিনের জেল হেফাজতে পাঠায় আদালত। ২৭ অক্টোবর ফের তাঁদের আদালতে তোলা হবে। প্রসঙ্গত, গতকাল বাকি দুই অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়েছিল। গতকাল তাঁদের গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়। ওই ২ জনেরও জেল হেফাজত হয়েছে।
এদিকে, বিজেপি জানিয়েছে, এই ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীরা যাতে ছাড়া না পায়, সেদিকে নজর রাখছে তারা। বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণচন্দ্র ঘোড়ুই বলেন, “আদালতে মামলা চলছে। কিন্তু, আমরা চিন্তিত পুলিশের বক্তব্য নিয়ে। পুলিশ বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আমরা আন্দোলনে নামব। দোষীদের আমরা ফাঁসি চাই।”