Woman Dead body recovered: দিন দশেক পর ফিরেছিলেন হস্টেলে, কয়েক ঘণ্টা পরই দগ্ধ দেহ উদ্ধার মহিলার
Woman Dead body recovered: কৃষ্ণনগরে বাড়ি মানা লাহিড়ীর। ১০ থেকে ১২ দিন তিনি হস্টেলে ছিলেন না। বুধবারে ফিরে এসেছিলেন। বিকেলের দিকে একটি শব্দ শুনতে পান তাঁর প্রতিবেশী আবাসিকরা। দেখেন গলগল করে ধোঁয়া বের হচ্ছে ওই মহিলার রুমের ভেতর থেকে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
আসানসোল: দিন দশ-বারো হস্টেলে ছিলেন না। ফিরেছিলেন সকালেই। বিকেলে লেডিজ হস্টেল থেকে উদ্ধার হল মহিলার অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ। বুধবার সন্ধ্যায় আসানসোল দক্ষিণ থানার সুকান্ত ময়দানের সামনে একটি মহিলা হস্টেল থেকে ওই মহিলার অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের নাম মানা লাহিড়ী (৫৮)। তিনি আসানসোলের একটি বেসরকারি ফার্মাসিস্ট কলেজে চাকরি করতেন।
ওই লেডিজ হস্টেলের অন্য আবাসিক মহিলারা জানিয়েছেন, কৃষ্ণনগরে বাড়ি মানা লাহিড়ীর। ১০ থেকে ১২ দিন তিনি হস্টেলে ছিলেন না। বুধবারে ফিরে এসেছিলেন। বিকেলের দিকে একটি শব্দ শুনতে পান তাঁর প্রতিবেশী আবাসিকরা। দেখেন গলগল করে ধোঁয়া বের হচ্ছে ওই মহিলার রুমের ভেতর থেকে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি সেন্ট্রাল ধ্রুব দাস ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
ডিসি সেন্ট্রাল জানান, ফরেনসিক টিমকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তারা এলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে হয়ত এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি নিয়ে ৪ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান রাজেশ তেওয়ারি বলেন, “আমি সন্ধ্যায় অফিসের কাজ শেষ করে ফিরছিলাম। সেই সময় আমাকে ফোন করে বলা হয় যে পাশের লেডিজ হস্টেল থেকে একটি আওয়াজ শুনতে পাওয়া গিয়েছে। এরপর আমি ফোন করি আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জকে।” রাজেশ তিওয়ারি জানিয়েছেন, আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে পুলিশ তদন্ত করছে।