অণ্ডাল: বিবাহ বহির্ভূত (Extra maratial Affair) সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন স্ত্রী। সেই খবর জানতে পেরেই স্ত্রী-র প্রেমিককে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক। অণ্ডালের শ্রীরামপুর ওয়ার্কসপ শ্রীকৃষ্ণপল্লী এলাকার ঘটনা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
শনিবার রাত্রিবেলার ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বীরেন্দ্র চৌধুরী (৪৮)। রাত এগারোটা নাগাদ বাড়ির কাছেই আহত অবস্থায় পড়ছিলেন তিনি। পেশায় তিনি লরি চালক। বীরেন্দ্রের গলা ও কপালে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর দাগ পাওয়া গিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে রাতেই নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। আঘাত গুরুত্ব হওয়ার কারণে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। বর্ধমান নিয়ে যাওয়ার পথেই বীরেন্দ্র চৌধুরীর মৃত্যু হয়।
মৃতের ছেলে রাজেশ চৌধুরী দাবি করেন, বাবার সঙ্গেই পুরনো বিবাদ ছিল প্রতিবেশী বামদেব দাস নামে এক ব্যক্তির। বামদেব দাস ধারাল অস্ত্র দিয়ে বাবাকে খুন করেছে বলে দাবি করে রাজেশের। তবে বিবাদ কী নিয়ে সেই বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানায়নি রাজেশ। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বামদেব দাস পলাতক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বামদেব দাসের স্ত্রীকে আটক করেছে অণ্ডাল থানার পুলিশ ।
অবৈধ সম্পর্কের কারণেই এই খুনের চেষ্টা বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ দাবি করেছেন। এক প্রতিবেশী বলেন, “মৃত বীরেন্দ্র চৌধুরী সঙ্গে অভিযুক্ত বামদেব দাসের স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এই কারণে মাঝেমধ্যেই মৃত বীরেন্দ্রর সঙ্গে বামদেব দাসের ঝামেলা হত। মৃতদেহটি আসানসোল জেলা হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য ।