রক্ত আর মাংসপিণ্ড ঝরে পড়ছে SBSTC বাসের ইঞ্জিনের নীচ থেকে, চিৎকারও কানে যায়নি চালকের! সরকারি বাসের ভূমিকায় স্থবির যাত্রীরা

SBSTC: এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। সংস্থার গেটের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে দেন। ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় কোকওভেন থানার পুলিশ।

রক্ত আর মাংসপিণ্ড ঝরে পড়ছে SBSTC বাসের ইঞ্জিনের নীচ থেকে, চিৎকারও কানে যায়নি চালকের! সরকারি বাসের ভূমিকায় স্থবির যাত্রীরা
বাসের নীচে আটকে রয়েছে স্কুটিImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 21, 2024 | 3:28 PM

দুর্গাপুর:  রাস্তার দু’ধারে লোকে চিৎকার করছিল। কিন্তু সে চিৎকারও কানে তোলেননি চালক। ৫০০ মিটার পর্যন্ত ছেঁচড়ে গিয়েছিলেন স্কুটি নিয়ে।  সেই ব্যক্তিকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় এসবিএসটিসি বাস। ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে দুর্গাপুরে। পুলিশ আটক করেছে বাসের চালক ও কন্ডাক্টরকে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম শ্যামল প্রামানিক (৩৫)। দুর্গাপুরের ফরিদপুর এলাকার বাসিন্দা।

রাস্তায় রক্ত আর মাংসপিণ্ড ঝরতে ঝরতে স্কুটি সমেত ব্যক্তিকে ছেঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস। এই ঘটনা দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। চিৎকার করে বাস দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। চিৎকারে কর্ণপাত না করে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে বাসটি ঢুকিয়ে দেন চালক।

এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। সংস্থার গেটের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে দেন। ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় কোকওভেন থানার পুলিশ।
ঘটনাস্থলে পুলিশকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। স্থানীয়দের অভিযোগ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ দুর্গাপুরের ডিপিএলের রাস্তা ধরে প্রচন্ড গতিসম্পন্ন অবস্থায় দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার একটি বাস যাচ্ছিল সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের দিকে। একই রাস্তায় স্কুটি নিয়ে এক ব্যক্তি যাচ্ছিলেন ।

তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি স্কুটি আরোহীকে ধাক্কা মারে। প্রায় ৫০০ মিটার ছেঁচড়ে নিয়ে গিয়ে কার্যালয়ের বাইরে ফেলে ব্যক্তির দেহ আর ভেতরেই ঢুকে গেল স্কুটি নিয়ে বাসটি। স্থানীয়রা সংস্থার কার্যালয়ের সামনে যেতেই পালিয়ে যায় চালক এবং কনডাক্টর। যতক্ষণ না পর্যন্ত চালককে বরখাস্ত এবং মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা । পুলিশ বাসটির চালক ও কন্ডাক্টরকে আটক করার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।