Durgapur Murder Case: গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন শেখ আমিন, ৭ বছর পর অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করল আদালত
Durgapur Murder Case: ২০১৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ঈদের দিনে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সেই শেখ আমিনকে।
দুর্গাপুর : কয়লা মাফিয়া খুনের মামলায় আটজনকে দোষী সাব্যস্ত করল দুর্গাপুর মহকুমা আদালত। ২০১৬ সালে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছিল শেখ আমিন নামে এক ব্যক্তিকে। বুধবারই সেই মামলার সাজা ঘোষণা করা হবে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় জামিন পেয়েছেন বেশ কয়েকজন। একসময় দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানা এলাকার কৈলাশপুর ছিল কয়লা মাফিয়াদের গড়। বেআইনি কয়লার কারবার নিয়ে প্রায়ই গণ্ডগোল লেগে থাকত এলাকায়। সেই বিরোধের জেরেই পরপর দুটি খুনের ঘটনা ঘটে ওই এলাকায়। মৃত্যু হয় আরও এক ব্যক্তির।
২০১২ সালে নিজের বাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছিলেন শেখ সেলিম। এলাকায় কয়লা মাফিয়া হিসেবেই পরিচিতি ছিল তাঁর। এরপরে এলাকায় কর্তৃত্ব কায়েম করতে শেখ সেলিমের সাগরেদদের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়ে গিয়েছিল। ক্ষমতা থাকবে কার হাতে, তা নিয়ে সমস্যা লেগেই থাকত। শেখ সেলিমের জায়গায় কয়লার বেআইনি কারবারের দখল নিয়েছিলেন শেখ আমিন।
২০১৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ঈদের দিনে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সেই শেখ আমিনকে। যিনি একসময় সেলিমের সহযোগী ছিলেন বলেই জানতেন সবাই। আমিনের শরীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল। শেখ আমিনকে বাঁচাতে গিয়ে গুলি লাগে শেখ মুজাহার নামে আরও এক ব্যক্তির। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চার দিন পর মৃত্যু হয় তাঁর।
এই খুনের ঘটনায় ১১ জন অভিযুক্তের মধ্যে তিনজন কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পান। বাকি ৮ জন বিচারাধীন বন্দিদের মঙ্গলবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক সকলকেই দোষী সাব্যস্ত করেন। বুধবার সাজা ঘোষণা করা হবে। ৩০২, ১২০(বি) ও ৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে অভিযুক্তদের।
যাঁদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাঁরা হলেন, শেখ সানিউল ওরফে সানাই, শেখ শাকিবুল, শেখ কাশেম, শেখ নুরুল হোদা, শেখ জাহাঙ্গীর, শেখ জনিয়ুল, বাবর আলি ও শেখ শাহজাহান। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়া বাকি তিন অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, লোকেশ সিং ও শেখ সাইফুলকে বেকসুর খালাস করে দুর্গাপুর মহকুমা আদালত।