দুর্গাপুর: একই পরিবারের চার জনের রহস্যমৃত্যুতে তিন জনকে গ্রেফতার করল দুর্গাপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম বুলারাণি মন্ডল, গৌতম নায়েক ও শিলা নায়েক। সোমবার ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। যুবক অমিত মণ্ডলের শ্বশুর বিশ্বম্ভর পাল দুর্গাপুর থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অমিত মণ্ডলের মা বুলারানি মন্ডল, মামাতো দাদা গৌতম নায়েক ও আরেক মামাতো ভাই সুব্রতর স্ত্রী শিলা নায়েককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪৯৮(এ),৩০২, ৪০৬ ও ১২০(বি) ধারায় মামলা রুজু করেছে। যদিও অমিতের শ্বশুর বিশ্বম্ভর পাল এই ঘটনায় ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে তিন জন গ্রেফতার হলেও বাকি ১৭ জন এখনও অধরা । পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে, এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন এক আইনজীবী। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনজীবীর বক্তব্য, এই চার জনের মৃত্যুর পিছনে বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। এর পিছনে নিয়োগ দুর্নীতির ছায়া থাকতে পারেন বলে মনে করছেন আইনজীবী। এই ঘটনায় বিচারপতি হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দশ দিয়েছেন।
রবিবার সকালে একটি ঘটনা সারা বাংলাকে নাড়িয়ে দেয়। দুর্গাপুরের মিলনপল্লিতে একই বাড়িতে থেকে উদ্ধার হয় যুবক অমিত মণ্ডল, তাঁর স্ত্রী রূপা ও দুই ছোট ছোটো ছেলেমেয়ের দেহ। অমিতের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল, মেঝেতে ছিল স্ত্রীর দেহ, দুই ছেলেমেয়ের নিথর দেহ ছিল বিছানায়। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে পরিবারের কয়েকজনকে মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে একটি বার্তাও দেন। তা নিয়েও দানা বাঁধছে রহস্য। অভিযোগ সম্পত্তির জেরেই করা হয়েছে খুন। মৃত্যুর আগের হোয়াটঅ্যাপ মেসেজ নিয়ে বেড়েছে চাপানউতর। মা, বর্ষা-সহ একাধিক জনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর এই সুইসাইড নোটটিই এখন তদন্তের প্রধান হাতিয়ার। তার ভিত্তিতেই শুরু হয়েছে তদন্ত।