Durgapur: নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে হাসপাতালে ‘বাধা’র মুখে ওড়িশার মহিলা কমিশনের টিম

Durgapur Physical Assault Case: হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়, ভিতরে রাজ্যপাল রয়েছেন। তাই তাঁদের বাইরেই অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু এত বড় হাসপাতালে কেন একটা অন্য রাজ্যের থেকে আসা প্রতিনিধিদের ভিতরে পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাঁদের।

Durgapur: নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে হাসপাতালে বাধার মুখে ওড়িশার মহিলা কমিশনের টিম
হাসপাতালের গেটের বাইরে আটকে ওড়িশার টিমImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 13, 2025 | 5:48 PM

দুর্গাপুর: দুর্গাপুরে ওড়িশার মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল। দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নির্যাতিতা। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করে গোটা ঘটনার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিতে গিয়েছিলেন ওড়িশার মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। কিন্তু হাসপাতালে ঢোকার ক্ষেত্রে তাঁদের বাধার মুখে পড়তে হয়। হাসপাতালের কর্মীরা বাইরে ব্যারিকেডেই আটকে দেন মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের।

হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়, ভিতরে রাজ্যপাল রয়েছেন। তাই তাঁদের বাইরেই অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু এত বড় হাসপাতালে কেন একটা অন্য রাজ্যের থেকে আসা প্রতিনিধিদের ভিতরে পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাঁদের।

ওড়িশা মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্য বলেন, “আমার এলাকার মেয়ে, আমার রাজ্যের মেয়ে, তার সঙ্গে এমনটা হয়েছে। আমরা বাইরে দাঁড়িয়েই অপেক্ষা করব।”

উল্লেখ্য, এদিন নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। টনায় উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন তিনি। দুর্গাপুর যাওয়ার আগে রাজ্য়পাল সাংবাদিকদের সামনে জানালেন, আগে তিনি নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি আক্রান্ত এবং তাঁর বাবা-মায়ের পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন। যারা এই কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে কিনা এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, আগে তিনি ওই ডাক্তারি ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। তার কাছ থেকে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করবেন। এই ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই পাঁচ জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। আবার এই ঘটনায় তৃণমূল যোগের তত্ত্বও খাড়া করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের ক্যাডার। তাঁর বাবা দলের পদাধিকারী।