দুর্গাপুর : শ্যালকের বিয়ে। শ্বশুরবাড়ি ভর্তি লোক। বাড়িতে বাজছে সানাই। সূর্য ওঠার আগে জল সইতে গিয়েছিলেন দিদি-জামাইবাবু, বাড়ির সদস্যরা। আচমকাই পুকুরে তলিয়ে যান পাত্রের দিদি। আর তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে ঝাঁপ দেন পাত্রের জামাইবাবু। স্ত্রীকে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি যুবকের। জলে ডুবে মৃত্যু হয় তাঁর। মর্মান্তিক
দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল শিল্প শহর দুর্গাপুর। শোকস্তব্ধ পরিবার সহ এলাকাবাসী।
দুর্গাপুরের ফুলঝোড় নিবাসী স্বপন কুমার সামন্তের ছেলে দেবমিতের সোমবার বিয়ে। বিয়ে ঠিক হয় বর্ধমানের দক্ষিন দামোদরের পলাশন গ্রামে। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, সোমবার ভোর ৫ টা নাগাদ স্থানীয় শঙ্খবাঁধে জল সইতে গিয়েছিলেন দিদি দেবস্মিতা কুণ্ডু, জামাইবাবু কৌশিক কুণ্ডু, বাবা স্বপন কুমার সামন্ত ও আত্মীয়া।
জল সওয়ার সময় আচমকাই জলে ডুবে যেতে থাকেন দিদি দেবস্মিতা। তাঁকে বাঁচাতে জলে ঝাঁপ দেন জামাইবাবু কৌশিক। দু’জকেই ডুবে যেতে দেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন বাবা স্বপন কুমার সামন্তও। আত্মীয়দের চিৎকারে আশেপাশের প্রতিবেশীরা গিয়ে জলে ঝাঁপ দেন। তিনজনকেই জল থেকে উদ্ধার করেন। জামাই কৌশিক ও পাত্রের বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা জামাই কৌশিক কুণ্ডুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক ।