
দুর্গাপুর: নির্যাতিতা পুলিশের কাছে বয়ানে জানিয়ছিলেন তাঁকে একজনই ধর্ষণ করেছিল। পুলিশও সেটি সাংবাদিক বৈঠক করে জানান। কিন্তু এই ঘটনার ২০ দিন পর যখন চার্জশিট জমা করল পুলিশ, তখন গণধর্ষণের ধারায় চার্জশিট দিল পুলিশ। চার্জশিটে সহপাঠীর বিরুদ্ধেও ধর্ষণের মামলা দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের হেফাজতে রেখে ট্রায়ালের আবেদন জানানো হয়েছে। দ্রুত ট্রায়াল শুরু হবে জানালেন সরকারি আইনজীবী।
তিন জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ও ডাকাতির মামলা এবং বাকি দু’জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা এবং নির্যাতিতার সঙ্গে অপরাধমূলক কাজকর্মের মামলা উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। পুলিশ সূত্রে খবর, এক জনই ধর্ষণ করেছিল এবং বাকি তাকে সহযোগিতা করেছিল। সেজন্য তিনজনের বিরুদ্ধেই গণধর্ষণের মামলা রয়েছে।
এই ঘটনার সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দ্রুত গতিতে তদন্ত চালিয়ে চার্জশিট গঠন করা হয়েজে। বৃহস্পতিবার আদালতে চার্জশিট জমা করা হয়েছে । ধৃতদের হেফাজতে রেখে ট্রায়াল করার আবেদন করা হয়েছে । এটা আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাফল্য। তিনি আশাবাদি দু’মাসের মধ্যে ট্রায়াল শেষ হয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ রাতে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের চিকিৎসক পড়ুয়ার ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার হয় বিজড়া এলাকার পাঁচ যুবক। গ্রেফতার করা হয়েছিল নির্যাতিতার সহপাঠীও। ধৃত ৬ জনকে নিয়েই তদন্তে নেমেছিল পুলিশ।
২৪ তারিখ দুর্গাপুর মহকুমার উপ-সংশোধনাগারে পাঁচজনের মুখোমুখি করে টিআই প্যারেড হয়। টিআই প্যারাডে নির্যাতিতা শেখ ফেরদৌসকে চিহ্নিত করেছিল। আর কুড়ি দিনের মাথায় ধৃতদের জেরা করে এবং তদন্ত চালিয়ে চার্জশিট গঠন করে নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ। তারপরেই বৃহস্পতিবার সেই চার্জশিট দুর্গাপুর মহাকুমা আদালতে জমা করা হয়। ধৃতদের পাঁচ দিনের হেফাজত শেষে শুক্রবার ফের আদালতে পেশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুরে দ্বিতীয় বর্ষেক এক মেডিক্যাল ছাত্রীর ধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় পড়ে বাংলায়। ফিরে আসে তিলোত্তমা প্রসঙ্গ। অভিযোগ, ওই ছাত্রী তাঁর সহপাঠীর সঙ্গে সন্ধ্যায় বেরিয়েছিলেন। রাতে কলেজের হস্টেলের পিছনের জঙ্গলের পাশের রাস্তা দিয়ে ফিরছিলেন। জঙ্গলেই ওই ছাত্রীর ওপর নির্যাতন চলে বলে অভিযোগ।