
মধুকল্পিতা চৌধুরীর রিপোর্ট
দুর্গাপুর: তাঁর সঙ্গে না কেউ দেখা করতে এসেছে, না কেউ তাঁকে দিয়েছে গ্রেফতারির খবর। টিভি৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে এমনটাই অভিযোগ করলেন দুর্গাপুরের নির্যাতিতার বাবা। আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন ভিন রাজ্য থেকে আগত ওই তরুণী। শুক্রবার এক পৈশাচিক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। যা সাড়া ফেলেছে গোটা দেশে। আরজি করের পর এবার দুর্গাপুর।
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৩ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে দুর্গাপুর পুলিশ। ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের ঘটনায় মোট ৫ জনকে চিহ্নিত করেছে তাঁরা। যাদের মধ্য়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ জনকে। দু’জন এখনও পলাতক। পাশাপাশি আটক করা হয়েছে সেই সন্ধ্যায় নির্যাতিতার সঙ্গে থাকা এক সহপাঠীকেও। তাঁর ভূমিকা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।
কিন্তু ৩ অভিযুক্তকে যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, সেই খবর নির্যাতিতার বাবা পাননি। রবিবার সকালে টিভি৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমি পাগল হয়ে যাব। এখন মেয়ে একটু কথা-বার্তা বলছে। আমি চাই পুলিশ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক। কারণ, এঁদেরকে কঠোর শাস্তি না দেওয়া হলে আমার মেয়ের মতো আরও ১০০ জন মেয়েকে ভুগতে হবে। তাই আমি লড়াই চালাচ্ছি।’
তাঁর সংযোজন, ‘এই রাজ্য়ের সরকারের উপর কীভাবে ভরসা রাখব? আমি তো কোনও ভাবেই ভরসা রাখতে পারছি না। ৩ জন যে গ্রেফতার হয়েছে সেই খবরও তো আমি এখনও পাইনি। প্রশাসন থেকে কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। শুধু বিজেপির কিছু ভাই খোঁজ নিয়েছিলেন।’
বলে রাখা প্রয়োজন, এদিন ওড়িশা থেকে কংগ্রেসের এক নেতা নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার মাঝেই তাঁর সঙ্গে সামান্য বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা গেল নির্যাতিতার বাবাকে। কংগ্রেস নেতার উদ্দেশে হাতজোর করে তিনি বলেন, ‘আমি রাজনীতি করতে চাই না। গতকাল থেকে আপনারা কোথায় ছিলেন?’ উল্লেখ্য, এই ঘটনার পর মেয়েকে বাংলায় রাখতে নারাজ তিনি। ইতিমধ্যে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝির কাছে সেই সংক্রান্ত আর্জি জানিয়েছে নির্যাতিতার বাবা। মেয়েকে দুর্গাপুরের কলেজ থেকে ছাড়িয়ে ভুবনেশ্বরে নিয়ে চলে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।