
দুর্গাপুর: তাঁরা নিখোঁজ নন। অথচ সরকারি খাতায় তাঁদের নাম উঠেছে ‘নিখোঁজ’ হিসেবেই। বাস্তবে যাঁরা নিজেদের বাড়িতেই থাকছেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ে নিয়ম মেনে এনুমারেশন ফর্ম জমা দিয়েছেন, এমনকী যার প্রমাণ হিসেবে হাতে রয়েছে জমা দেওয়ার বিএলওর রিসিভ। খসড়া তালিকায় তাঁরাই পড়লেন অস্বস্তিতে। তালিকায় সাফ লেখা ‘খুঁজে পাওয়া যায়নি’। আর এই ঘটনায় চরম আতঙ্কে দুর্গাপুর নগর নিগমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপল্লী এলাকার বাসিন্দা রাখি বটব্যাল, সঞ্জীব মাণ্ডি, শ্রাবণী মাণ্ডি সহ ১০ জন।
শ্রাবণীর অভিযোগ, তাঁরা ফর্ম জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন লিস্টে লেখা রয়েছে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনুপস্থিত। এই বিষয়টি দেখে বড় চিন্তায় রয়েছেন। রিসিভ রয়েছে তাঁদের কাছে। গাফিলতি কার? বিএলও’র না নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের? তা বুঝে উঠতে পারছেন না। শ্রাবণী বলেন,”আমরা তো সব জমা করেছি তারপর কেন এমন হল? আমাদের কাছে কপি আছে।”
কটাক্ষ করে দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রাক্তন পুরমাতা রাখি তিওয়ারি বলেন, “এসআইআর প্রক্রিয়া যেদিন থেকে শুরু হয়েছে সেদিন থেকেই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। মানসিক অবসাদে প্রাণ হারাচ্ছে অনেকে। এখন দেখা যাচ্ছে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার পরেও অনেকের নাম নিখোঁজ রাখা রয়েছে। এই দায় সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের।” জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান, “সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন।” পাল্টা দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘরুই জানান, এটা সম্পূর্ণ বিএলও-র দোষ। কারণ বিএলওরা রাজ্য সরকারের লোক।