দুর্গাপুর: আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (ADDA) দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার দফতরে আগুন। সোমবার মধ্যরাতে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। দমকলের ১২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে বহু নথিপত্র, পুড়েছে আসবাবপত্রও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ও আধিকারিকরা। যায় দুর্গাপুর সিটি সেন্টার পুলিশও। ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে দমকলবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণ করার কাজ চালায়। দমকলের আধিকারিকরা জানান, এই ভবনে জলের কোনও সোর্স ছিল না। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। একটা ওয়াটার রিজার্ভারও বিল্ডিংয়ে থাকলে এতটা সমস্যা হতো না বলে মত দমকলের।
এডিডিএ চেয়ারম্যান তাপস বন্দোপাধ্যায় জানান, রাত ২টো ১০ নাগাদ কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীরা দফতরের শৌচালয়ের দিক থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন। এরপরই শুরু হয় হইচই। এদিকে মুহূর্তে ধোঁয়া হয়ে ওঠে আগুনের লেলিহান শিখা। দুর্গাপুরের দমকল বিভাগে খবর দেওয়া হলে একের পর এক ইঞ্জিন আসতে শুরু করে।
তবে আরও ইঞ্জিনের দরকার পড়ায় পানাগড়, রানিগঞ্জ থেকেও দমকলের ইঞ্জিন আনা হয়। তাতেও না কুলোলে অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে আসে দমকলের ইঞ্জিন। মঙ্গলবার সকালে আগুনের তীব্রতা কমেছে। তবে এখনও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে বলছেন না দমকলকর্মীরা। এডিডিএ চেয়ারম্যান জানান, কী কারণে আগুন লাগল তা জানা যায়নি। তবে বহু জরুরি নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
দমকল বাহিনীর ডিভিশনাল আধিকারিক শুভ্রাংশু মজুমদার বলেন, “আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনটে ইঞ্জিন আমরা পাঠাই। তারপর পানাগড় ও রানিগঞ্জ থেকে আরও দু’টো গাড়ি এসেছে। কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগুন ভালভাবেই অ্যারেস্ট করা সম্ভব হয়েছে। তবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে বলতে পারব না।”