CPM: ‘TMC হয় গালি দিয়েছে…কিন্তু নিজের দলই আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করল’, CPM থেকে বহিষ্কার হতেই মুখ খুললেন বংশগোপাল

TMC-CPM: বংশগোপাল চৌধুরীর বলেন, "ক্ষমতা থেকে চলে যাবার পর তৃণমূল কংগ্রেস আমাকে হয়তো গালিগালাজ করেছে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেনি। কোনও চক্রান্ত করেনি। যতটা চক্রান্ত করছে আমার নিজের দল আমার বিরুদ্ধে।"

CPM: TMC হয় গালি দিয়েছে...কিন্তু নিজের দলই আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করল, CPM থেকে বহিষ্কার হতেই মুখ খুললেন বংশগোপাল
বংশগোপাল চৌধুরী, সাংসদImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Apr 27, 2025 | 5:34 PM

আসানসোল: আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সিপিএমের। দলের এক মহিলা নেত্রীকে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরই কড়া প্রতিক্রিয়া বংশগোপালের। বললেন, “আমি ট্র্যাপের শিকার। আমারই দলের লোকজন আমার বিরুদ্ধে ট্র্যাপ করল। নিজেরা কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়ল।”

বংশগোপালের দাবি, তিনি পার্টির উপর রেখেছিলেন। কিন্তু একবারও তাঁকে এই বহিষ্কারের কথা জানানো হয়নি। সংবাদ মাধ্যম থেকে এই বিষয়ে তিনি জানতে পেরেছেন বলে খবর। প্রাক্তন সাংসদ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার কুৎসা করা হল। পার্টির তদন্তে আস্থা রেখেছিলাম। আর আমাকে দল থেকে বহিষ্কারের খবর আমি জানতে পারলাম না। মধ্যরাতে সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত খবরে এটা জানতে হল। তাহলে দলের শৃঙ্খলা কোথায় ? আমি যে দল দেখেছিলাম,এখন আর সে দল নেই।”

বংশগোপাল চৌধুরীর বলেন, “ক্ষমতা থেকে চলে যাবার পর তৃণমূল কংগ্রেস আমাকে হয়তো গালিগালাজ করেছে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেনি। কোনও চক্রান্ত করেনি। যতটা চক্রান্ত করছে আমার নিজের দল আমার বিরুদ্ধে। যখন মন্ত্রী ছিলাম তখনও একটা অংশ চক্রান্ত করত। যখন সাংসদ ছিলাম তখনও আমার বিরুদ্ধে মহিলা ঘটিত সাজানো ঘটনার চেষ্টা হয়েছিল।” বিস্ফোরক মন্তব্য করে প্রাক্তন সাংসদ বলেন,
“কলকাতা থেকে এসে এই জেলায় যাঁরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিজেপির সঙ্গে তলে তলে আঁতাত রয়েছে। তারা তোলাবাজ। সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য পরিবর্তনের পর আওয়াজ তোলা হয়েছিল আমার ঘরে নাকি ৫০ কোটি টাকা আছে। কই এতগুলো বছর পেরিয়ে গেল তবু কোনও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।”

হুঙ্কার দিয়ে প্রাক্তন সাংসদ বলেছেন, শৃঙ্খলা মেনে এতদিন তিনি চুপ ছিলেন। কিন্তু লাগাতার কুৎসা প্রচারকারীরাও দলের পদে আছেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদের ওপরে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না ? তিনি এ দিন এও বলেন, “সিপিআই, তৃণমূল কংগ্রেস, নকশাল সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমি আপাতত সমাজের কাজ করে যাব।”

উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন ধরেই সিপিএম-এর একাধিক নেতার জন্য অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে দলকে। কখনও তন্ময় ভট্টাচার্য, কখনও সুশান্ত ঘোষের মতো তাবড় সিপিএম নেতাদের বিরুদ্ধে মহিলাদের অভিযোগের ভিত্তিতে দলকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল। এরপর সেই তালিকায় নাম জড়ালো বংশগোপালের। বস্তুত, আসানসোলের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী। মুর্শিদাবাদের দলের এক মহিলা নেত্রীকে সমাজমাধ্যমে নানা কুরুচিকর বার্তার অভিযোগ উঠেছিল বংশগোপালের বিরুদ্ধে। এরপরই তাঁকে বহিষ্কার করে সিপিএম।