AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Red Light Area: ফর্ম জমা না দিয়েই উধাও! এসআইআর-এর পর উদ্বেগ বাড়ছে নিষিদ্ধপল্লীতে

SIR in Bengal: আসানসোলের কুলটির নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লীতে এই ছবি সামনে এসেছে। এসআইআর-এর প্রাথমিক পর্ব শেষ হওয়ার পর খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে কুলটির নিষিদ্ধপল্লী সংলগ্ন চারটি বুথে ভোটার তালিকা থেকে মোট ভোটারের অর্ধেকের বেশি ভোটার বাদ পড়েছে।

Red Light Area: ফর্ম জমা না দিয়েই উধাও! এসআইআর-এর পর উদ্বেগ বাড়ছে নিষিদ্ধপল্লীতে
Image Credit: Getty Image
| Edited By: | Updated on: Dec 19, 2025 | 1:11 PM
Share

আসানসোল: খসড়া তালিকা প্রকাশের পর চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল। উদ্বেগ রাজনৈতিক মহলেও। গোটা নিষিদ্ধপল্লীর ২০ শতাংশ ভোটার বাদ পড়ল এসআইআরে। আরও ২০ শতাংশের ম্যাপিং করা যায়নি বলে কমিশন সূত্রে খবর। মোট চারটি বুথ মিলিয়ে সামনে এল একই ছবি। বিরোধীদের অভিযোগ ভোটার নেই, কিন্ত ভোটার তালিকায় এই নামগুলো রেখে দেওয়া হয়েছিল। আর তৃণমূল এই পরিস্থিতির জন্য় দায়ী করছে বিএলও-দের।

আসানসোলের কুলটির নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লীতে এই ছবি সামনে এসেছে। এসআইআর-এর প্রাথমিক পর্ব শেষ হওয়ার পর খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে কুলটির নিষিদ্ধপল্লী সংলগ্ন চারটি বুথে ভোটার তালিকা থেকে মোট ভোটারের ২০ শতাংশ ভোটার বাদ পড়েছে।

এসআইআর-এর শুরুতে চারটি বুথে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬২৭। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর নাম বাদ গিয়েছে ৭৪২ জনের। যার মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ১৩৯, অন্যত্র চলে গিয়েছে ৬৯ জন, এই চার বুথে ৫৩৪ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও আর জমা দেননি। এছাড়াও নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ২০০২-এর তালিকার সঙ্গে ম্যাপিং করা যায়নি, এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪। উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এল কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন যৌনপল্লী এলাকাগুলিতে।

বিরোধীদের দাবি, শাসকদল তৃণমূল এই ভূতুড়ে ভোটারদের কাজে লাগিয়েছে বছরের পর বছর। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি যোগ থাকার অভিযোগও তুলেছেন বিরোধীদের। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাঁরা এই নাম বাদ যাওয়ার পেছনে দায় চাপিয়েছেন বিএলওদের ওপর। তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি বাচ্চু রায়ের বক্তব্য, যৌনকর্মীরা বাড়ির পরিচয় গোপন রেখে এখানে ব্যবসা করতে আসেন। তাঁরা ভয় পেয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুলেও জমা করেননি। এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই বলেই দাবি করা হয়েছে।