Murder Case: বৌদি খুনে যাবজ্জীবন জেলে দেওর, ১৩ বছর পর বেকসুর খালাস স্বামী

Murder Case: প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ ছিল সম্পর্কের টানাপোড়েনের জরেই খুন হয়ে গিয়েছিলেন মহিলা। তাঁর স্বামী রঞ্জিত মজুমদার ও দেওর সমীর মজুমদারের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল খুনের অভিযোগ। তদন্তে উঠে আসে বৌদি-দেওরের অবৈধ সম্পর্কের কথা।

Murder Case: বৌদি খুনে যাবজ্জীবন জেলে দেওর, ১৩ বছর পর বেকসুর খালাস স্বামী
হয়ে গেল সাজা ঘোষণা Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 30, 2025 | 7:31 PM

দুর্গাপুর: ঘটনা ২০১২ সালের ২৮ জুনের। একরাতেই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল মহিলার জীবন। নিজের ঘরেই পড়েছিল নিথর দেহ। সম্পর্কে তিনি একজনের স্ত্রী, আর একজনের বৌদি। শোরগোল পড়ে গিয়েছিল এলাকায়। রক্তাক্ত ভয়াবহ সেই রাতের কথা এখনও ভুলতে পারেনি দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের লবনাপাড়ার মানুষ। 

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ ছিল সম্পর্কের টানাপোড়েনের জরেই খুন হয়ে গিয়েছিলেন পূর্ণিমা মজুমদার। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ২৫। তাঁর স্বামী রঞ্জিত মজুমদার ও দেওর সমীর মজুমদারের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল খুনের অভিযোগ। তদন্তে  উঠে আসে বৌদি-দেওরের অবৈধ সম্পর্কের কথা। যদিও খুনের বিবরণ দেখে তদন্তে নেমে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পুলিশকে। নানা বিষয়ে দেখা যায় ধোঁয়াশা। 

তারপর থেকে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে চলছিল বিচারপ্রক্রিয়া। অবশেষে বুধবার রায় ঘোষণা করলেন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক। সূত্রের খবর, যে রাতে এই ঘটনা ঘটে সেই সময় মহিলা ঘুমন্ত অবস্থাতেই ছিলেন। ছিলেন স্বামী ও দেওর। কে মহিলাকে খুন করল তা কেউ দেখেনি। মহিলার মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছিল। শুধু এটুকুই জানা যায়। সে কারণেই তদন্তে এত দীর্ঘসূত্রিতা বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সম্পর্ক, পরিস্থিতি, সন্দেহ সবকিছু বিচার করে আদালত শেষ পর্যন্ত তাঁর সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। বেকসুর খালাস মহিলার স্বামী। দোষী সাব্যস্ত হলেন দেওর সমীর মজুমদার। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত। আদাতের রায়ে খুশি মৃতার পরিবার।