আসানসোল : ‘আমরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম, হিন্দু-মুসলমান / মুসলিম তার নয়ণমণি, হিন্দু তাহার প্রাণ’। আসানসোলে (Asansol) রামনবমীর মিছিলে (Harmony in Ramnavami Procession) যেন ধরা পড়ল কাজী নজরুলের ইসলামের লেখা সেই চেনা সম্প্রীতির ছবি। রামনবমীর শোভাযাত্রাকে স্বাগত জানলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। খাওয়ালেন শরবত। জামুড়িয়ায় ওই রামনবমীর শোভাযাত্রায় ছিলেন বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁকে জামুড়িয়ায় রীতিমতো ক্যাম্প করে স্বাগত জানালেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। ইয়ং মুসলিম নামে সেই ক্যাম্পে লেখা, ‘দোয়া করো হামারা ভারত ফিরসে মহান বানে’। একইসঙ্গে ক্যাম্পে লেখা প্রতিটি হিন্দুই বিবেকানন্দ এবং প্রতিটি মুসলিম আব্দুল কালাম তৈরি হোক।
রামনবমী উপলক্ষে এই শোভাযাত্রা জামুড়িয়ার শিবপুর গ্রামের বাবা দোয়াতেশ্বর শিব মন্দির থেকে শুরু হয়ে জামুড়িয়া বাজার সিনেমা মোড় হয়ে থানামোড় দুর্গা মন্দিরের সামনে শেষ হয়। এদিকে মিছিলে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় মোতায়েন ছিল প্রচুর সংখ্যক পুলিশ কর্মী। নজরদারি চলে ড্রোন দিয়ে। এই শোভাযাত্রাতেই জামুড়িয়ার বড় মসজিদের জুনিয়র কমিটি তরফ থেকে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককেই দইয়ের শরবত খাওয়ানো হয়। তাঁরাই ইয়ং মুসলিম নামে এই ক্যাম্প করেছিলেন। তাঁদের সাফ দাবি, সবার আগে তাঁরা ভারতবাসী। তাই ভেদাভেদ ভুলে সম্প্রীতির বার্তা দিতেই একত্রিত হয়ে তাঁরা এই রামনবমীর শোভাযাত্রাকে স্বাগত জানালেন।
অন্যদিকে শুধু জাতি-সম্প্রদায়গত ভ্রাতৃত্বের বন্ধন নয়। রাজনৈতিক সহস্থানও দেখা গেল রামনবমীর মিছিলে। কুলটি নিয়ামতপুরের দেখা গেল এই দৃশ্য। সীতারামপুর থেকে রাধানগর পর্যন্ত বিশ্বহিন্দু পরিষদের রামনবমী মিছিলে পা মেলালেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। আবার ওই একই মিছিলে গেরুয়া উত্তরীয় নিয়ে দেখা গেল মহিলা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ ইন্দ্রাণী মিশ্রকে।