Deoghar: পেশায় নার্স, এক সন্তানের মা, তাঁকে কি না এভাবে দেখতে হবে? দেওঘরে গিয়ে মাথায় হাত মহিলার বাবার

Deoghar News: মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, পাঁচ বছর আগে বিউটি রানার বিয়ে হয়। তাঁর বছর চারের এক সন্তানও রয়েছে। গত তিন বছর ধরে দেওঘরের নার্সিংহোমে কাজ করছিলেন তিনি। ছেলেকে দেখভালেন জন্য মৌসুমী সাহা নামে অপর এক মহিলাকে রেখেছিলেন দেওঘরে।

Deoghar: পেশায় নার্স, এক সন্তানের মা, তাঁকে কি না এভাবে দেখতে হবে? দেওঘরে গিয়ে মাথায় হাত মহিলার বাবার
বিউটি রানাImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 05, 2025 | 7:14 PM

দুর্গাপুর: ঝাড়খন্ডের দেওঘরে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নার্সিংয়ের কাজ করছেন। রয়েছে এক ছেলেও। কিন্তু আচমকাই তাঁর এমন পরিণতিতে ধন্দে পরিবার। বিশ্বাসই করতে পারছেন না তাঁরা মেয়ে আর নেই। আচমকা কী ভাবে বাড়ির মেয়ের এভাবে মৃত্যু ঘটতে পারে তা ভাবতেই পারছেন না তাঁরা।

দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানা এলাকার টেটিখোলার বাসিন্দা বিউটি রানা। বয়স তিরিশ। গত তিন বছর ধরে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নার্সের কাজ করতেন। যুবতীর পরিবারের দাবি, ডিসেম্বরের ২১ তারিখ বিউটির সঙ্গে তাঁদের শেষ যোগাযোগ হয়েছিল। এরপর থেকে কোনও যোগাযোগ না হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েন তাঁরা। এরপর শুক্রবার বিউটির বাবা পরেশ রানা দেওঘরের মহিলা হোস্টেলে পৌঁছন। সেখানে গিয়ে বিউটির রুমে যান। তারপরই মাথায় হাত তাঁর। যুবতীর বাবার দাবি, ঘরের ভিতর পড়েছিল বিউটির পচাগলা দেহ। এই ঘটনা দুর্গাপুরের টিটিখোলা এলাকায় জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। শোকোস্তব্ধ হয়ে যায় গোটা এলাকা।

মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, পাঁচ বছর আগে বিউটি রানার বিয়ে হয়। তাঁর বছর চারের এক সন্তানও রয়েছে। গত তিন বছর ধরে দেওঘরের নার্সিংহোমে কাজ করছিলেন তিনি। ছেলেকে দেখভালেন জন্য মৌসুমী সাহা নামে অপর এক মহিলাকে রেখেছিলেন দেওঘরে। মৌসুমীর দাবি, কয়েক মাস আগে বিউটির ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে দুর্গাপুরের টেটিখোলায় ফিরে আসেন তিনি। তারপর থেকে ঝাড়খণ্ডে একাই ছিলেন তিনি।

এরপর ডিসেম্বর মাসের ২১ তারিখ থেকে বিউটির সঙ্গে আর ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না জানিয়েছেন তাঁর মা। বিউটির বাবা দেওঘরে গিয়ে দেখেন বিউটির পচাগলা দেহ। রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধ্বন্দে পরিবার। এ প্রসঙ্গে বিউটির মা মিনতি রানা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ের সাথে কারো শত্রুতা ছিল না। তবে সহকর্মীদের হিংসা ছিল। তারাই তার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে দেওঘর থানার পুলিশ।