আসানসোল: যৌনপল্লিতে ভিনরাজ্যের গ্রাহকরা ঢুকলেই সক্রিয় হয়ে ওঠেন দালালরা। চলে দেদার লুঠপাট। অভিযান চালিয়ে এরকম সাত দালালকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কুলটি থানার লছিপুর যৌনপল্লিতে কুলটি থানার নিয়ামাতপুর ফাঁড়ির পুলিশ একটি বিশেষ অভিযান চালায়। সেই অভিযানে পুলিশ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করে বলে নিয়ামতপুর ফাঁড়ি সূত্রে খবর।
আসানসোল পুরনিগমের স্থানীয় কাউন্সিলর জাকির হোসেন জানিয়েছেন, এই যৌনপল্লিতে দালালদের দৌরাত্বের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। রাত হলেই বহিরাগত বহু যুবক এই এলাকায় এসে জড়ো হয়। বিশেষ করে ভিন রাজ্য থেকে যারা এই যৌনপল্লিতে আসেন, তাঁদের টার্গেট করা হয়। গ্রাহকদের দালাল পরিচয় দিয়ে সর্বস্ব লুঠ করে। একই সঙ্গে তাঁরা নানা প্রকার অসাধু কাজের সঙ্গেও জড়িত বলে অভিযোগ।
বিশেষত পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে কেউ এলেই তাঁরা ফাঁদ পাতে। গাড়ির নম্বর দেখে চিহ্নিত করা হয় গ্রাহকদের। গোটা পরিকল্পনা ও পরিচালনা হয় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে থাকা একটি বেসরকারি হোটেল থেকে বলে কাউন্সিলরের দাবি। আগেই বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের সর্বস্তরেই জানানো হয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, যৌনপল্লিতে এই ধরনের অসাধু দালাল উৎখাত করতে পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানের প্রয়োজন রয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের এই অভিযান নিয়ে যৌনকর্মীরাও খুশি।
তাঁরা জানিয়েছেন, দালালদের অত্যাচারে আমাদের জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিদিন। লছিপুর যৌনপল্লির যৌনকর্মীদের নামে নানা প্রকার কুৎসা ছড়িয়ে পড়ছে বাইরে । গ্রাহকরা অত্যাচার ও লুঠের ভয়ে এখানে আসতে চাইছেন না। এছাড়াও দালালরা যৌনকর্মীদের টাকা কম দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করে। এদিনের পুলিশি অভিযানে খুশি তাঁরা।