Asansol : ফের জিতেন-চৈতালির আবাসনে পুলিশি হানা, খালি হাতে ফিরলেন তদন্তকারীরা
Asansol : গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে শিবচর্চা ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আসানসোল (Asonsol) কর্পোরেশনের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি।
আসানসোল : শুক্রবারের পর শনিবারও জিতেন চৈতালি বাড়িতে হানা দিলে পুলিশ (Police)। শুক্রবারের মতো শনিবারও তাদের খালি হাতেই ফিরতে হয়। কারণ বাড়ি ছিল তালাবন্ধ। উল্লেখ্য, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জিতেন চৈতালি সহ মোট পাঁচজনের আগাম জামিনের আবেদন খারিজের পরেই আসানসোলে (Asansol) জিতেন চৈতালির আবাসনে হানা দিয়েছিল পুলিশ। কম্বলদান অনুষ্ঠানে পদপৃষ্ঠের ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। অভিযোগ দায়ের হয়েছিল জিতেন্দ্র তেওয়ারি ও চৈতালী তেওয়ারিদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। তাই শুক্রবার ও শনিবার দুপুরে দুই এসিপি-সহ উত্তর থানার ওসি এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ অধিকারিকরা আসানসোলের ঘনশ্যাম এপার্টমেন্টে হানা দেয়। কিন্তু বাড়ির দরজায় তালা থাকায় তাঁরা ফিরে যেতে বাধ্য হন। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে চৈতালিকে। তাই আগেই বৃহস্পতিবার ও পরে শুক্রবারও নোটিশ পাঠানো হয়েছিল জিতেন্দ্রর বাড়িতে। কিন্তু পুলিশকে খালি হাতে ঘুরে আসতে হয়। পাশাপাশি দুজনের সঙ্গেই ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় পুলিশের তরফ থেকে। কিন্তু তাদের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানা যাচ্ছে।
আসানসোলে শিবচর্চায় কম্বল বিতরণের সময় পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ চৈতালীর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। তারপরই পুলিশ কী ব্যবস্থা নেয়, সেদিকেই এখন সবার নজর ছিল। এই ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই ছয়জন শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে শিবচর্চা ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আসানসোল কর্পোরেশনের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি। সেখানেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে শুরুতে বেশ কিছু কম্বল বিতরণ করে তিনি অনুষ্ঠান মঞ্চ ছাড়েন। এরপর কম্বল নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এতে পদপিষ্ট হয়ে নিহত হন ৩ জন। হাসপাতালেও ভর্তি করা হয় আরও ৬ জনকে।