
আসানসোল: ছোট নীল রংয়ের পিকআপ ভ্যান। বাঁকুড়ার কর্মাশিয়াল নম্বর। রঙিন কাপড়ে ঢাকা গাড়ির ডালা। বাঁকুড়ার মেজিয়া সেতু পার করে পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জের বাইপাস দিয়ে যাচ্ছিল গাড়িটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হতেই দাঁড় করানো হয় গাড়িটি। গাড়ি দাঁড় করিয়ে ওই রঙিন কাপড় সরাতেই চক্ষু চড়কগাছ। ওই ছোট্ট গাড়িতে গাদাগাদি করে বেঁধে রাখা হয়েছে দশটি গরু। এক এক করে গরুগুলি নামানো হল গাড়ি থেকে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
ফের গরু পাচারের অভিযোগ রানিগঞ্জে। পাচারের আগেই পিকআপ ভ্যান ভর্তি গাড়ি ধরে ফেললেন স্থানীয় বাসিন্দা। রানিগঞ্জের গির্জাপাড়ায় ঘটলো এই ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি যুবমোর্চার নেতা কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ এই গরুগুলো পাচার হচ্ছিল বীরভূমে। তার আগেই ধরে ফেলা হয়।
বাঁকুড়া থেকে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে রানিগঞ্জ বাইপাস দিয়ে যাচ্ছিল পিকআপ ভ্যানটি। বিজেপির যুব মোর্চার নেতা অভিক মণ্ডলের অভিযোগ, ছোট্ট গাড়িতে যেভাবে এতোগুলি গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাতে বোঝাই যাচ্ছে পালন করার উদ্দেশ্য নয়। তার দাবি গরুগুলির কোনও বৈধ কাগজপত্র নেই। এমনকী গাড়ি চালকের লাইসেন্স নেই। গাড়ির কাগজ নেই। তাই গাড়ি সমেত গরুগুলিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই গরুগুলি বাঁকুড়ার শালতোড়া ব্লকের পাবরা হাট থেকে আনা হচ্ছিল। গাড়ির চালকের দাবি ওই গরুগুলি কিছু রানিগঞ্জ এবং কিছু আসানসোলে নিয়ে যাওয়ার কথা। তবে গরু কেনাবেচার কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি ওই চালক। শুধু জানা গিয়েছে, এক একটি গরু ১৪০০ টাকা করে কেনা হয়েছিল। রানিগঞ্জ পুলিশের দাবি ওই গরুগুলিকে আপাতত গোশালায় রাখা হয়েছে। গাড়ির নম্বার ধরে মালিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সবকিছু তদন্ত করে তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।