
দুর্গাপুর: দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এখনও কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার নির্যাতিতার পরিবারকে ফোন করে কিংবা দেখা করে খোঁজ নিলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু। সাংবাদিক বৈঠক করে নির্যাতিতার বাবাকে পাশে নিয়েই তিনি রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
শুভেন্দু বলেন, “আমরা ওড়িশার একজন মেয়েকে এখানে সুরক্ষিত রাখতে পারলাম না। আমরাও লজ্জিত। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা জানতে চেয়েছিলেন, পরিবার চিকিৎসায় খুশি কিনা। পরিবার জানিয়েছে, আরও ভাল চিকিৎসার জন্য ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যেতে। এখন নির্যাতিতা খাওয়া দাওয়া করছে।” নির্যাতিতার শারীরিক পরিস্থিতির কথা বলতে বলতেই কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি শুনে আরও লজ্জিত, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী আসেননি, ফোনও করেননি। অথচ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি ফোন করে সহানুভূতি জানিয়েছেন। ছাত্রীর ভবিষ্যতের ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।”
শুভেন্দু জানান, ছাত্রীর বাবা মা আমার কাছে আরও একটা বিষয় জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের মেয়েকে এখানে রাখতে চাইছেন না। ৮০ লক্ষ টাকা দিয়ে কলেজে ভর্তি করিয়েছিলেন। নির্যাতিতা দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। যেহেতু তাঁরা আর এই কলেজে পড়াতে চান না, সেক্ষেত্রে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবার। শুভেন্দু তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। মোহন মাঝি ও ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখছেন। জলেশ্বরে নির্যাতিতার বাড়িতেও যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্তই গ্রেফতার হয়নি। তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। এদিন নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরাও। তবে তাঁরা নির্যাতিতার সঙ্গে আদৌ দেখা করবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। কারণ শুভেন্দু অধিকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েও অনুমতি পাননি। তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু।