Land: বিঘার পর বিঘা জলাভূমিতে এভাবেই পড়ছে মাটি, নেপথ্যে কে?

Land: অভিযোগ সম্প্রতি স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী হীরন্ময় দাস নিজের প্রভাব খাটিয়ে জেসিপি মেশিন দিয়ে জমি ভরাট করছিলেন। বেশ কয়েকদিন ধরে সেই কাজ চলছিল বলে অভিযোগ।

Land: বিঘার পর বিঘা জলাভূমিতে এভাবেই পড়ছে মাটি, নেপথ্যে কে?
ভরাট করা হচ্ছে জমিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2024 | 6:56 AM

দুর্গাপুর: জলাভূমি ভরাট নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযোগ উঠেছে বারবার। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কলকাতা শহরেও চলে এভাবে জমি ভরাটের কাজ। এবার সেই ছবিই দেখা গেল দুর্গাপুরে। বিঘার পর বিঘা জমিতে ফেলা হচ্ছে মাটি। বুজে যাচ্ছে জলাশয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ির ভিতর ঢুকে যাচ্ছে জল। অভিযোগ, দাঁড়িয়ে থেকে এই কাজ করাচ্ছেন এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। তড়িঘড়ি উদ্যোগ নিল ভূমি রাজস্ব দফতর।

১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দুর্গাপুরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে জমি ভড়াটের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। মুচিপাড়া শিবপুর মোড় সংলগ্ন এই জমি দুর্গাপুরের সগড়ভাঙা এলাকার একটি পরিবারের দেবোত্তর সম্পত্তি বলে জানা গিয়েছে। জমির একাংশ জলাশয়ের আকার নিয়েছে। পাশের জমিতে কয়েকজন ভাগচাষ করতেন বলে জানা গিয়েছে। তবে বেশ কিছুদিন হল এই জমি ফাঁকাই পড়েছিল।

অভিযোগ সম্প্রতি স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী হীরন্ময় দাস নিজের প্রভাব খাটিয়ে জেসিপি মেশিন দিয়ে জমি ভরাট করছিলেন। বেশ কয়েকদিন ধরে সেই কাজ চলছিল বলে অভিযোগ। এক বাসিন্দা জানান, জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়ায় এলাকার নোংরা জল বেরনোর জায়গা পাচ্ছে না। ফলে, তাঁর ঘরে জল ঢুকে যাচ্ছে। জলাশয় বোজানোয় সেই জল বেশ কয়েকটি দোকানে গিয়েছে জমছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।

সাওন রুইদাস নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ওই জমির ভাগচাষী হিসেবে দাবি করেছেন। তিনি জানান ওই জমিতে জল জমা হচ্ছিল সেই কারণে মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। হীরন্ময় দাস অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পেশায় হোটেলের মালিক হীরন্ময় দাসের দাবি, কৃষকরাই জমি ভরাট করছেন। তিনি শুধু পাশে আছেন। ওই ব্যবসায়ী বলেন, “আমি করছি না। ওরাই ২-৫ গাড়ি মাটি দিয়ে ভরাট করেছে। আমি যে কোনও কাজে পাশে থাকি, তা গিয়েছিলাম। আমি করাচ্ছি না।”

তবে খবর পেয়েই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে দুর্গাপুরের ভূমি রাজস্ব দফতর। বিএলআরও উৎপল কুমার সাহা জানান, তাঁদের কাছে খবর আছে যে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী হীরন্ময় দাসের মদতে চলছিল জলাশয় ভরাটের কাজ। তিনি বলেন, “ওখানে তিনটি প্লট রয়েছে। ওগুলো দেবোত্তর সম্পত্তি। বহুদিন ধরে জলাভূমি ছিল। মাছ চাষ হত কি না জানা নেই, তবে কচুরিপানা ছিল। জেসিবি চালিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। কাজ বন্ধ করা হয়েছে। যা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নেব।”