TMC MLA: ‘প্রধান-উপপ্রধান কিন্তু পদ খোয়ানোর মতো অবস্থায় চলে যাবেন!’ ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে দলের নেতাদের হুঁশিয়ারি TMC বিধায়কের

Jayanta Biswas | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 19, 2024 | 5:10 PM

TMC MLA: বিধায়ক বলেন, "যদি কারোর পাকা ঘর থাকে, তিনি আমাদের দলের কেষ্ট বিষ্টু যেই হোক না কেন, তিনি যদি ঘর পান, সরকারি পদে আছেন, তিনি চাপে পড়বেন। প্রধান উপপ্রধান কিন্তু পদ খোয়ানোর মতো অবস্থায় চলে যাবেন। কারণ এ খবর কিন্তু চাপা থাকবে না। এ খবর বেরোবেই। তাই সকলেই সতর্ক থাকবেন।"

TMC MLA: প্রধান-উপপ্রধান কিন্তু পদ খোয়ানোর মতো অবস্থায় চলে যাবেন! বাংলার বাড়ি প্রকল্পে দলের নেতাদের হুঁশিয়ারি TMC বিধায়কের
দলীয় নেতাদের হুঁশিয়ারি বিধায়কের
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

পশ্চিম বর্ধমান: বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দুর্নীতি হলে প্রধান, উপ প্রধানকে পদ খোয়াতে হতে পারে। এমনই হুঁশিয়ারি পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর। ইতিমধ্যেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। দলীয় নেতাদের কাটমানি না খাওয়ার জন্য খোলা মঞ্চ থেকে সতর্ক করলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি।

বিধায়ক বলেন, “যদি কারোর পাকা ঘর থাকে, তিনি আমাদের দলের কেষ্ট বিষ্টু যেই হোক না কেন, তিনি যদি ঘর পান, সরকারি পদে আছেন, তিনি চাপে পড়বেন। প্রধান উপপ্রধান কিন্তু পদ খোয়ানোর মতো অবস্থায় চলে যাবেন। কারণ এ খবর কিন্তু চাপা থাকবে না। এ খবর বেরোবেই। তাই সকলেই সতর্ক থাকবেন।”

আবাসের টাকা না পাওয়া নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র বেঁধেছে মমতা সরকার। আর তারই পাল্টা বাংলার মানুষের জন্য রাজ্য সরকারের নয়া প্রকল্প বাংলার বাড়ি। এই প্রকল্পে ২০২৬ সালের বাংলার ১৬ লক্ষ পরিবারকে বাড়ি বানিয়ে দেবে সরকার। তাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মমতা সরকার। কিন্তু আবাসের ঘর নিয়ে বাংলায় শাসক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে উঠেছে গুচ্ছ অভিযোগ। এমনও খবর প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে পাকা দোতলা বাড়ি, প্রাসাদপম বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাসের তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। সেক্ষেত্রে তৃণমূল নেতাদের নাম জড়িয়ে সর্বোতভাবে। কোথাও কোনও রেশন ডিলার, কোনও পঞ্চায়েত সদস্যের দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে প্রকাশ্যে। এ নিয়ে বাংলায় বিস্তর শোরগোল।

টালির ছাউনিতে বাস করেন, এমন ব্যক্তিদের নাম নেই আবাসের তালিকায়, অথচ যাঁর দোতলা বাড়ি, তাঁর নাম রয়েছে আবাসের তালিকায়! এই নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষে মুখ পোড়ে শাসকদলের। সেক্ষেত্রে শাসকের নীচ স্তরের জনপ্রতিনিধিদের দাবি, সার্ভে করেছেন সরকারি কর্মীরাই, এক্ষেত্রে তাঁদের দায় নেই। বাংলার বাড়ি প্রকল্পেও যাতে এহেন অভিযোগ না ওঠে, তাই আগে থেকেই সতর্ক করলেন বিধায়ক।

Next Article