Asansol: ডিভিসি অফিস ঘেরাও করতে গিয়ে জল ছাড়ার ছবি তুলতে ছুটলেন তৃণমূলকর্মীরা, সভার চেয়ার রইল ফাঁকা

Asansol: আসানসোলের তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উদ্যোগের খামতি ছিল না। প্রায় ১০০-র বেশি SBSTC বাস তুলে নেওয়া হয় ডিপো থেকে। প্রায় ৫-৬ হাজার মানুষকে আনা হয় মাইথনে। কিন্তু তৃণমূল কর্মীদের বেশিরভাগই কর্মসূচি ছেড়ে ঘুরে বেড়ালেন মাইথন পর্যটন কেন্দ্রের আনাচে কানাচে।

Asansol: ডিভিসি অফিস ঘেরাও করতে গিয়ে জল ছাড়ার ছবি তুলতে ছুটলেন তৃণমূলকর্মীরা, সভার চেয়ার রইল ফাঁকা
সভার চেয়ার ফাঁকাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Oct 07, 2025 | 4:08 PM

আসানসোল: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঝাড়খণ্ডের মাইথনে মঙ্গলবার ডিভিসি অফিস ঘেরাও করার কর্মসূচি নেয় রাজ্য তৃণমূল। কিন্তু সভাস্থল দেখা গেল কার্যত ফাঁকা। আসানসোল থেকে মাইথন যাওয়া হাজার হাজার তৃণমূলকর্মী সমর্থকরা ঝান্ডা কাঁধে উপভোগ করলেন মাইথন পর্যটন কেন্দ্রের দৃশ্য। সভাস্থলে দেখা গেল না অনেককেই। আবার কেউ সভাস্থলে মুখ দেখিয়েই পালালেন মাইথনের জল-জঙ্গল-পাহাড় দেখতে।

মঙ্গলবার মাইথন থেকে জল ছাড়া হয় মাত্র ১২ হাজার কিউসেক হারে। আর সেই দৃশ্য দেখতেই সভাস্থল ছেড়ে, কর্মসূচি ছেড়ে বেরিয়ে যান কর্মীরা। কেউ কেউ সেলফিও তোলেন। এদিকে কার্যত ফাঁকা ময়দানে বক্তব্য রাখলেন বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক হারেরাম সিং, ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক এমনকী মন্ত্রী মলয় ঘটকও।

আসানসোলের তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উদ্যোগের খামতি ছিল না। প্রায় ১০০-র বেশি SBSTC বাস তুলে নেওয়া হয় ডিপো থেকে। প্রায় ৫-৬ হাজার মানুষকে আনা হয় মাইথনে। কিন্তু তৃণমূল কর্মীদের বেশিরভাগই কর্মসূচি ছেড়ে ঘুরে বেড়ালেন মাইথন পর্যটন কেন্দ্রের আনাচে কানাচে। এমনই দৃশ্যই দেখা গেল মঙ্গলবার।

এদিন ডিভিসি মাইথনের অফিসের বাইরে মন্ত্রী মলয় ঘটক, তৃণমূল বিধায়ক, জেলা সভাপতি নরেন চক্রবর্তী, বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়রা হুঁশিয়ারি দেন আগামিদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে। ডিভিসি-র বিমাতৃসুলভ আচরণের তীব্র নিন্দাও জানান তাঁরা।

এদিকে ডিভিসি-র মাইথন অফিসে বিধায়ক মন্ত্রীদের হাত থেকে ডেপুটেশন গ্রহণ করেন ডিভিসি ইডি সিভিল সুমন প্রসাদ সিং। তিনি স্পষ্ট জানান, রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়া হয় না। জল ছাড়া হয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের নির্দেশে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ সহ বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে, যেখানে রাজ্যের নির্দিষ্ট প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। রাজ্য প্রশাসন তাঁদের জানিয়েছে, নিম্ন দামোদর উপত্যকা এলাকায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক পর্যন্ত জল ধারণ ক্ষমতা আছে। এই পরিমাণ জল ছাড়লে বন্যা পরিস্থিতি হয় না। কিন্তু ডিভিসি থেকে এবারে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার কিউসেক পর্যন্তই জল ছাড়া হয়েছে তাই এই অভিযোগ সত্য নয়।