TMC: ভোটে বিরোধীরা কই? এ তো তৃণমূল ভার্সেস তৃণমূলের নির্বাচন

Ghatal: রবিবার এই সমবায়ের ভোট ছিল। সকাল থেকে ভালভাবেই ভোট প্রক্রিয়া চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শেষবেলায় এসে ভোট গণনার সময় দেখা যায় তুমুল উত্তেজনা। এমনকী পুলিশকে লাঠি নিয়ে তাড়া করতেও দেখা যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। ঘটনায় ৪ জনকে আটকও করা হয়।

TMC: ভোটে বিরোধীরা কই? এ তো তৃণমূল ভার্সেস তৃণমূলের নির্বাচন
সমবায়ের ভোটে নামল পুলিশ। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2024 | 8:25 PM

ঘাটাল: সমবায়ের ভোটে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই তৃণমূল লড়াই করেছে। দাসপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার জয়কিষাণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে। যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকশিবির।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

রবিবার এই সমবায়ের ভোট ছিল। সকাল থেকে ভালভাবেই ভোট প্রক্রিয়া চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শেষবেলায় এসে ভোট গণনার সময় দেখা যায় তুমুল উত্তেজনা। এমনকী পুলিশকে লাঠি নিয়ে তাড়া করতেও দেখা যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। ঘটনায় ৪ জনকে আটকও করা হয়।

এই সমিতিতে মোট আসন সংখ্যা ৩৬। ৩৬টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াই হয় বলে দাবি এলাকার লোকজনের। তৃণমূলের দুই নেতা স্বদেশ দণ্ডপাট ও সুব্রত মাইতির শিবিরের মধ্য়েই এই ভোট চলে বলে অভিযোগ। এমনকী ১৫টি আসনের মধ্যে ভোটের ফল ঘোষণায় দেখা যায় সুব্রতগোষ্ঠী ১২টি আসনে জয়লাভ করেছে। অপরদিকে স্বদেশগোষ্ঠী ৩টি আসনে জয়লাভ করেছে।

যদিও অঞ্চল সভাপতি স্বদেশ দণ্ডপাট বলেন, “গোষ্ঠী কথাটা ঠিক নয়। ব্লক সভাপতি সুনীল ভৌমিকের ব্যর্থতার জন্য এই ভোট। সুব্রত মাইতি ওনার নির্দেশেই এসব করছে। আমি নেতৃত্বে আছি আমিই বুঝতে পারছি না আসল তৃণমূল কে? আর এরা তৃণমূলের কে? দল এটা বুঝিয়ে দিক। উনি ব্লক সভাপতি, ওনার যেমন দাম আছে। আমারও পদের দাম আছে। সুব্রত মাইতি একজন সাধারণ ভোটার। উনি মিটিং ডেকে নির্বাচনে নেমে পড়লেন?”

পাল্টা সুব্রত মাইতি বলেন, “এই ভোট না হওয়াই কাম্য ছিল। আমরা দলগত সিদ্ধান্ত মেনে চেষ্টা করি। তাতে আমরা ১০টায় জিতি, ওরা ৩টেয় জেতে। বোর্ড তৃণমূলেরই হবে। এ নিয়ে সংশয় নেই। আগামিদিন সকলকে নিয়ে চলতে হবে। ব্লক সভাপতির মদতের কোনও প্রশ্নই নেই। তিনি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন। ওরাই মানেনি।” এ বিষয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতা প্রশান্ত বেরা বলেন, তৃণমূলের দলাদলি, হিংসার জন্য তাঁরা প্রার্থীই দিতে পারেননি। এদিকে তৃণমূল গোষ্ঠীকোন্দলে কাবু।